
‘নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। এখানে সংলাপ নিয়ে ধূম্রজাল কোথা থেকে এলো? আমি তো সংলাপ শব্দটি উচ্চারণ করিনি। বলা হয়েছে গণভবনে নেত্রী আমন্ত্রণ জানাবেন, শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। একটু আপ্যায়নের ব্যবস্থাও থাকবে। এই ছিল আমাদের কথা। এখানে ধূম্রজাল কেন হবে, সংলাপ কেন হবে?’
আওয়ামী লীগের আসন্ন জনসভা উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন তিনি। দলটির আগামী ১৯ জানুয়ারির জনসভাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি হোটেলে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্ট, বিএনপি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী জোট সব মিলিয়ে মোট ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন। সেই দলগুলোর নেতৃবৃন্দকে আমাদের নেত্রী আবারো গণভবনে আমন্ত্রণ জানাতে চান, শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একবারও সংলাপের কথা বলেননি। আমি বলেছি তিনি আমন্ত্রণ জানাবেন। আমি তো সংলাপের কথা বলিনি। কাজেই এ শব্দটি কোথা থেকে এলো আমি জানি না। যে নির্বাচন দেশে-বিদেশে প্রশংসিত সেখানে সংলাপের প্রশ্ন আসে কীভাবে! জাতিসংঘ বলেছে শেখ হাসিনার সাথে কাজ করতে তারা রাজি। এই নির্বাচনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার বিপুল জয় হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে সংলাপ হাস্যকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা নির্বাচন আগামী মাসে, নির্বাচন কমিশন সিডিউল ঘোষণা করবে। আমরা স্থানীয় নির্বাচন সবসময় দলীয়ভাবে করি। জোটগতভাবে করি না। এর আগে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়নি। তবে এবার শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন আমরা দলীয় প্রতীকে করবো। যারা মনোনয়ন চাইবেন তাদের প্রথমে তৃণমূল পর্যায়ে রেকোমেন্ডেশন আনতে হবে। জেলা-উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি তিনজনের নাম আমাদের কাছে দেবে। সেখান থেকে জরিপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবেন। নির্বাচন আগেও জোটগতভাবে হয়নি এবারও হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।