1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে পৈত্রিক জমি দখলের অভিযোগে গ্রীন ফিল্ড স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে ওয়ারিশদের সংবাদ সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস তারাগঞ্জে নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুদ করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা পীরগঞ্জে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অপবাদে গৃহবধুর নির্যাতন ও আত্মহত্যা,স্থানীয় নেতৃত্বের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ গাইবান্ধায় ‘জাসদ নেতাকে’ এনসিপির আহবায়ক করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ গাইবান্ধার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ ৬ নেতাকে শোকজ তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যা: এলাকায় শোক–আতঙ্ক,  দুস্কৃতকারী‌দের গ্রেপ্তারের দাবি ‘সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ-নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধায় নারী-পুরুষদের সাথে আলোচনা সভা গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস পালন

জজদের নিয়ে গঠিত ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ অকেজো, সিইসির ক্ষোভ

  • আপডেট হয়েছে : বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত ‘ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি’র (নির্বাচনী তদন্ত কমিটি) কার্যক্রমে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ তোলেন সিইসি। যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সহকারী জজের ২৪৪ জন ওই ব্রিফিংয়ে অংশ নেন।

জজদের উদ্দেশে কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘আপনাদের ভিজিবল (দৃশ্যমান) হতে হবে। তার মানে, আপনারা এখন পর্যন্ত কিন্তু ভিজিবল হননি। বাস্তবতা হলো সেটা। ভিজিবল যখন হবেন, আপনাদের কাজের মাধ্যমে (মানুষ) যখন আস্থা রাখবে, আপনাদের যখন চিনবে, তখন থেকে আপনাদের ওপরে দায়িত্ব আসবে। তখন আর আমাদের ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে শত শত অভিযোগ আসবে না।’

‘আমরা প্রত্যেক দিন শত শত অভিযোগ পাই। কিন্তু অভিযোগগুলো আমাদের কাছে আসার কথা না। কারণ, আপনারা সেখানে (মাঠ পর্যায়ে) রয়েছেন। আমরা কী করব? অভিযোগগুলো আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেব। প্রয়োজন ছিল অভিযোগগুলো সরাসরি আপনাদের কাছে যাবে। তা যায় না। ২০০৮ সাল থেকে যে নতুন একটা দায়িত্ব আপনাদের ওপর অর্পিত হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের যারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের প্রত্যেকের ওপরে কোনো না কোনোভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। আপনাদের ওপরে আগে হয়নি। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে,’ বলেন সিইসি।

সিইসি আরো বলেন, ‘যিনি আপনাদের কথা শুনবেন না, প্যানেল কোর্টের ১৯৩ ধারামতে তাদের সাত বছরের জেল হবে। যদি মিথ্যা তথ্য দেয় এবং আপনাদের আদেশ না মানে, প্যানেল কোর্টের ২২৮ ধারা অনুসারে তাদের বিচার হবে। তার মানে হলো কোড অব সিভিল প্রসিডিউরের ১৯০৮-এর সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে আপনারা মাঠে অবস্থান করবেন। এটা আপনাদের প্রকৃত শক্তি, যেটা আপনাদের চেম্বারে নয়, মাঠে। সমস্যার মুখোমুখি, প্রার্থীদের মুখোমুখি, আচরণবিধি যারা ভঙ্গ করবে তাদের মুখোমুখি, আপনাদের ওপরে অন্য রকম অভিজ্ঞতা। এটা অন্য রকম পরিবেশ বা অন্য রকম দায়িত্ব আপনাদের ওপরে অর্পিত হয়েছে। এটাকে আপনাদের ভালোভাবে দেখভাল করা দরকার।’

মানুষের কাছে সহজেই সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্যই বিচারকদের এ কাজে সংযুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘তারা যেন তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে এখানে ওখানে ছোটাছুটি করার প্রয়োজন মনে না করেন। আপনাদের সামনে পেয়ে তাঁরা যেন অভিযোগ পেশ করতে পারেন। আপনাদের প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে, ভাইব্রান্ট হতে হবে এবং আপনাদের জানতে হবে যে, তাঁদের সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য আপনারা আছেন। ৩০০টি আসনের মধ্যে ১২২টি জায়গায় আপনারা তাদের কাছাকাছি আছেন। তারা যেন সমস্যার সমাধান পায়, এটা আপনাদের দেখতে হবে।’

নির্বাচনী তদন্ত কমিটির প্রতি আশাহত হয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, ২৫ নভেম্বর যখন এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল, আমরা আশা করেছিলাম যে, প্রত্যেকটি কমিটি অন্তত ১২২টি অভিযোগ তদন্ত করার কথা ছিল। এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। ১০০টা তদন্ত করার প্রত্যাশা ছিল। ১০০টা বাদ দিলাম, ২২টি তদন্ত করার প্রত্যাশা ছিল। তা হয়নি। কারণ সেটাই, এখন পর্যন্ত আপনারা প্রস্তুতি নিয়ে গুছিয়ে উঠতে পারেননি।’

‘আজকে থেকে, এখান থেকে, আপনাদের কী করণীয়, দায়িত্ব এবং কীভাবে এই কমিটি পরিচালিত হবে জেনেশুনে, ফিরে গিয়ে তদন্ত করবেন। মানুষের অভিযোগগুলো শুনবেন, আমলে নেবেন এবং তাদের রিলিফ দেবেন। যাতে তারা তাদের জায়গায় বসে, এলাকায় থেকে, ঢাকা পর্যন্ত না এসে আপনাদের কাছ থেকে, পাশে থেকে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারেন,’ নির্দেশ দেন সিইসি।

ইসি সচিবসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচনকালীন অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১২২টি ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছিলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এসব কমিটিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একজন জজ এবং একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ বা সহকারী জজকে নিয়ে মোট দুজন বিচারক এই কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা।

সারা দেশে তিনশ নির্বাচনী এলাকায় অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে এসব কমিটি করা হয়েছে। আয়তন ও ভোটার বিবেচনায় নিয়ে একই জেলায় একাধিক কমিটিও করা হয়েছে। যেমন পঞ্চগড় জেলায় একটি, আবার দিনাজপুর জেলায় কাজ করবে পৃথক তিনটি কমিটি।

কিন্তু সপ্তাহখানেক পার হয়ে গেলেও এই কমিটির কার্যক্রমে কোন অগ্রগতি নেই বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হতাশা প্রকাশ করেন।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft