
গাইবান্ধার একমাত্র নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মোহনার জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। দেশের সাংস্কৃতিকজনরা এখন জেনে গেছে যে গাইবান্ধায় প্রতিমাসে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলতায়তনে মোহনা নামের একটি সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় এবারের ১২১তম মোহনা হয়ে গেল দুইজন অতিথি শিল্পীর সুন্দর পরিবেশনার মধ্যদিয়ে। গতকাল ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলতায়তনে মোহনার ১২১তম আসরে এবারের শিল্পী ছিল বগুড়ার জামিরুল ইসলাম জেমী এবং কুড়িগ্রামের মোছা. সুলতানা খাতুন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাওয়া তারামন বিবি, চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন, শিল্পী মৃনাল কান্তি মুস্তফি ও কুড়িগ্রামের শিল্পী বাদল আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানাতে সকলে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক অমিতাভ দাশ হিমুনের উপস্থাপনায় বিজয়ের মাস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে দেশগান গাইলেন তাসনিয়া, মৃত্তিকা, নিকিতা, দিঘী, রোজা ও জয়ী। এরপর মোহনার অতিথি শিল্পীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হয়। শিল্পী জেমী ও সুলতানাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করলেন সাবেক ব্যাংকার জিয়াউল হক কামাল এবং সেলিনা রশিদ শেলী।
জামিরুল ও সুলতানা পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ও ভারতের বেশকিছু আধুনিক গান গাইলেন। জেমি তার ভরাট ও সুরেলা কন্ঠে গেয়েছেন -হে আমার গুরু দক্ষিণা, কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নাই, আগে যদি জানতাম, সেই তুমি কেন অচেনা হলে প্রভৃতি গান এবং সুলতানা গেয়েছেন- ফুলের কানে ভ্রমর এসে, আমার বলার কিছু ছিল না, তন্দ্রা হারা, আমি তার ছলনায় ভুলবো না প্রভৃতি গান।
শিল্পীদের বাদ্যযন্ত্রে সহযোগিতা করেন- তবলায় মাহমুদ সাগর মহব্বত, কী বোর্ডে শামসুল ইসলাম সুমন এবং মিজানুর রহমান মিলন, প্যাডে মানিক বর্মন এবং গীটারে সৈকত।
অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীদের বই ও ক্রেস্ট দেন মোহনার সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া এবং মানিক বর্মন।