
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমাদের কাছে কেন যেন মনে হচ্ছে, নির্বাচনটা ধানের শীষের সঙ্গে সরকারি দল আওয়ামী লীগের নয়; নির্বাচনটা মনে হচ্ছে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পুলিশ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নামে যারা রয়েছেন তারা।”
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে এসে পাঁচটি চিঠি দিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেছেন, গ্রেপ্তার দেখে তাদের মনে হচ্ছে যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীই বিএনপির ‘প্রতিপক্ষ’।
“আক্রমণের পর আক্রমণ হচ্ছে; যা ইচ্ছে তা করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের প্রটোকল দেওয়া হচ্ছে; নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। আর আমাদের ধরছেন, পেটাচ্ছেন, গ্রেপ্তার করছেন, সভা পণ্ড করছেন; আর তারা (পুলিশ) দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন।”
ভোটের মাঠ থেকে সরে থাকা আলাল বলেন, “যেভাবে হামলা করা হচ্ছে, তাতে নির্বাচন করাটা দুরূহ হয়ে যাচ্ছে। কমিশন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেন, সে আবেদনই জানিয়েছি আমরা।”
বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলটি নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করে সাক্ষাৎ না পেয়ে চিঠিগুলো ডেসপাস বিভাগে জমা দেন।
বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত চিঠিগুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লেখা হয়েছে।
আলাল জানান, উত্তরায় ঐক্যফ্রন্টের সভামঞ্চ ভাংচুর ও মারধর, সভা পণ্ড করা হয়েছে। এছাড়া ফরিদপুর-২, ৩, ঢাকা-১, ২; নরসিংদী-২, ময়মনসিংহ-২, ৩, ১১; মাগুরা-১, ২; কুষ্টিয়া-৩, সিরাজগঞ্জ-২, ৩; পটুয়াখালী ১, মৌলভীবাজার-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩, নেত্রকোণা-৩, মানিকগঞ্জ-১, ৩; চাঁদপুর-৪, নওগাঁ-২, রাজশাহী-৪ ও ৬ আসনে নেতারকর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে।
ভোটের মাঠে সমান সুযোগ নিশ্চিতে এখন থেকে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে বিএনপি ও জোটের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে সিইসির কাছে।