
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ড. টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরীর (৮৪) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। এর আগে তালুকজামিরা হাইস্কুল ময়দানে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে ও জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সেখানে মানুষের ঢল নামে। জানাজা পূর্ব মরহুমের স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, গাইবান্ধা-৩ আসনের এমপি নৌকার প্রার্থী ডাঃ ইউনুস আলী সরকার, গাইবান্ধা-২ সদর আসনের ২০ দলীয় প্রার্থী আঃ রশিদ, গাইবান্ধা-৩ আসনে জাসদ মনোনীত প্রার্থী এস.এম খাদেমুল ইসলাম খুদি, গাইবান্ধা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাহিদ নিউ, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামস-উল-আলম হীরু, গাইবান্ধা পৌর মেয়র এ্যাড. শাহ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, জেলা বিএনপির সভাপতি মঈনুল হাসান সাদিক, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু বকর প্রধান, উপজেলা জাসদ সভাপতি নুরুজ্জামান প্রধান, পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাও. নজরুল ইসলাম লেবু, সাবেক চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, বিএনপি নেতা শাহ আলম সরকার, মরহুমের সহচর মাহামুদুজ্জামান সরকার বাদশা প্রমুখ।
গত বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান । ফজলে রাব্বী চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে সংক্রমণ ও উচ্চ রক্তচাপ রোগে ভুগছিলেন। তিনি পলাশবাড়ী উপজেলার তালুকজামিরা গ্রামের স্কুল শিক্ষক মরহুম আহসান উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।
তিনি গাইবান্ধা-৩ আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) হয়ে ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে ড. টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হন ড. রাব্বী।
১৯৮৪ সালে এইচ.এম এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন ফজলে রাব্বী। সাবেক রাষ্ট্রপাতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। ফজলে রাব্বী ভূমি মন্ত্রী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী, সংস্থাপন মন্ত্রী ও চীফ হুইপ হিসেবে দায়িত্বও পালন করেন। এর আগে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর হিসেবে কমরত ছিলেন তিনি।