1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড, মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড তারাগঞ্জে নবীনবরণ, বিদায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে “ভুয়া দরপত্রের মাধ্যমে গাছ বিক্রি” শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বদলী : নতুন পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম ফুলছড়িতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুইজন আটক পোশাকের রং বদলায়, কিন্তু বদলায় কি পুলিশের আচরণ? গাইবান্ধায় এনসিপির মনোনয়ন ফরম তুলেছেন যারা পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের নির্বাচনী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ী উপজেলা জাতীয়তাবাদী তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন রাজশাহীতে বিচারকপুত্র হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন

গাইবান্ধায় নাব্যতা সংকটে বালাসীঘাটে নৌ চলাচল হুমকির মুখে

  • আপডেট হয়েছে : মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনাসহ গাইবান্ধার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সবগুলো নদ-নদীর পানি কমে গিয়ে সেগুলো শাখা-প্রশাখায় ভাগ হয়ে এখন শীর্ণকায় রূপ নিয়েছে। এখানকার নদীর অবস্থা দেখে ভাবাই যায় না এসব নদীই বর্ষাকালে ভয়ংকর রূপ নেয়। আকস্মিক পানি শূন্যতায় প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা নৌ ঘাটগুলোর অস্তিত্ব এখন বিপন্ন। ইতিমধ্যে অনেক নৌ ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে।

যে সব নৌ ঘাট এখনও কোন রকমে টিকে রয়েছে সেগুলোরও এখন বেহাল দশা। চ্যানেলের অভাবে নৌযান কমে গেছে অর্ধেকেরও বেশি। যে কোন সময় নৌ চলাচল স¤পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মূলত: পানি সংকটের কারণে নৌ যোগাযোগ এখন হুমকির মুখে। যে সব রুটে এখনও যান্ত্রিক নৌকাগুলো চলছে জেগে ওঠা চরের কারণে ঘুর পথে চলাচল করতে হচ্ছে বলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে সময় লাগছে দ্বিগুণেরও বেশি। অপর দিকে ছোট ছোট নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় ওইসব নদীতে ইতিপূর্বে স্থাপিত সেচ যন্ত্রগুলো এখন পানি সংকটের মুখে পড়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট সেচ যন্ত্রের আওতাধীন বোরো জমি পানির অভাবে এখন শুকিয়ে যাচ্ছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনাসহ ছোট বড় সবগুলো নদীর পানি দ্রুত কমতে শুরু করে। অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে নদীগুলো নিজেদের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এ তিনটি নদীর পানি এখন সর্বনিম্ন পর্যায়। বিশাল বিশাল চর জেগে উঠেছে এখন নদীর বুকে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ নদীতে নাব্যতা থাকার সময় স্বাভাবিকভাবে নৌকায় চলাচল করতো। এখন নদী বুকে জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চর এবং শীর্ণকায় নদীর শাখাগুলো পায়ে হেটে গন্তব্য স্থলে তাদের পৌঁছতে হয়। ইতিমধ্যে অনেক চরে ভট্টূা, বাদাম ও মরিচসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয়েছে। এদিকে নদীগুলো নাব্যতা হারানোর ফলে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেক রুটে যান্ত্রিক নৌকাগুলো চলাচল করতে পারছে না। ব্রহ্মপুত্রে সবচেয়ে বড় ঘাট হচ্ছে বালাসী নৌ ঘাট। এরপরও এই ঘাট এলাকায় নদী পাড় থেকে ১৭টি রুটে যাত্রবাহী যান্ত্রিক নৌকা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। অথচ আগে ৩০টি রুটে এখান থেকে অবাধে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করতো। বর্তমানে এ ঘাট থেকে যে সব রুটে নৌ চলাচল করছে সেগুলো হচ্ছে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর ও কর্তীমারী, সদর উপজেলার মোল্লার চর, কুন্দেরপাড়া ও পারদিয়ারা, ফুলছড়ির সানন্দবাড়ী, ফুটানী বাজার, জিগাবাড়ী, হরিচন্ডি, খোলাবাড়ী, খাটিয়ামারী এবং জামালপুর জেলার বাহাদুরাবাদ, ঘুটাইল ও দেওয়ানগঞ্জ। আগে যেখানে একেক রুটে ৪টি করে নৌকা চলাচল করতো এখন সেখানে মাত্র দুটি করে নৌকা চলাচল করছে। সাবেক ফুলছড়ি উপজেলা হেড কোয়ার্টার থেকে আগে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও বাহাদুরাবাদসহ ফুলছড়ি উপজেলার গলনা, ফজলুপুর, খাটিয়ামারী, পিপুলিয়া, গাবগাছি, দেলুয়াবাড়ী, জিগাবাড়ী, ভাজন ডাঙ্গা, জিয়াডাঙ্গা ইত্যাদি অভ্যান্তরীণ রুটে ২০টি নৌকা প্রতিদিন যাতায়াত করতো। এখন সেখানে ৫টিও চলাচল করে না। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও জামালপুরের ১২টি রুটে নৌ
চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বালাসী ঘাট ইজারাদার শেখ সরদার আসাদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন বিডাব্লীউডির কতৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে চর জাগতে বসেছে। প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা দিয়ে ,নিজ খরচে ড্রেসিংয়ের কাজ করতে হচ্ছে। বিডাব্লিউডির ১১৪ কোটি টাকার ড্রেসিংয়ের প্রকল্প অনুমোদন হলেও তারা ঠিক ভাবে কাজ করছেন না। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানানো হয়েছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে নদীগুলো আরও ভরাট হয়ে যাবে এবং নাব্যতা সংকটের সৃষ্টি হবে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র বা অন্য নদী ড্রেজিংয়ের এখনও কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবে দেশের নদীগুলো ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার সরকারের একটি মহাপরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft