
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি কর্নেল (অব) ডা.আব্দুল কাদের খাঁনের পক্ষে গতকাল ২২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তার এক প্রতিবেশী। তার পক্ষে মনোনয়পত্র সংগ্রকারী গওফল আজম সরকার জেল হাজতে বন্দি কর্নেল (অব) ডা. আব্দুল কাদের খাঁনের সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী । এসময় গওফল আজমের সঙ্গে আরও দুইজন উপস্থিত ছিলো।
গত ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ গ্রামের নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয় গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে। এ ঘটনায় লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকলি বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। বহু গ্রেফতার তারপর আসামীদের রিমান্ডে নেওয়ার পরেও মূলরহস্য উৎঘাটন না হওয়ায় অবশেষে এক বছরের মাথায় হত্যাকান্ডের মুল রহস্য উৎঘাটন হয় তদন্ত শেষে মামলায় কাদের খাঁনসহ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেয় পুলিশ। বর্তমানে কাদের খাঁনসহ চার্জশিটভুক্ত সাত আসামি জেলা কারাগারে রয়েছেন। এক আসামি পলাতক আছেন। লিটন হত্যা মামলার প্রধান আসামী কর্নেল (অব) আব্দুল কাদের খাঁন এ আসনের জাপার সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন। কাদের খাঁন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগের নির্বাচিত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি। ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এরপর থেকে তিনি গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন। আর কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তার পক্ষে সুন্দরগঞ্জ আসনে মনোনয় পত্র সংগ্রহ করেছেন।তার এক প্রতিবেশী।
এ বিষয়ে আইনজীবীরা জানান ,কর্নেল (অব) ডা. আব্দুল কাদের খাঁন এমপি লিটন হত্যা মামলার প্রধান আসামি। বর্তমানে যেহেতু মামলাটির এখন সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চলছে। সেহেতু এই মামলার এখনও রায় হয়নি তাই নির্বাচন করতে কাদের খাঁনের কোনও আইনি জটিলতা নেই। তবে কারাগারে থেকেই নির্বাচন করতে হবে তাকে। এক্ষেত্রে তার জামিনের কোনও সুযোগ নেই।’ আর কারাগার থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে কর্নেল (অব) ডা. আব্দুল কাদের খাঁন কেও অনুমতি নিতে হবে।