
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে কে হবেন বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। গত বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে গাইবান্ধা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সেবাষ্টিন রেমার কাছে বিএনপির পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিন প্রার্থী। তারা হচ্ছেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার আহাদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন্নবী টিটুল ও জাতীয় পার্টি থেকে সদ্য পদত্যাগকারি সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রশিদ সরকার। কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড থেকে খন্দকার আহাদ আহমেদ ও মাহামুদুন্নবী টিটুল এর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলেও পরে আব্দুর রশিদকেও দলীয় মনোনয়নপত্র দেয়া হয়। এ নিয়ে দলে চরম অসন্তোস বিরাজ করছে।জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন্নবী টিটুল ছাত্রজীবনে সর্বশেষ গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবা সাবেক সংসদ সদস্য রোস্তম আলী মোল্লা। গত বছর অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে টিটুল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। বর্তমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে তার বলিষ্ট ভূমিকা রয়েছে। আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি কারাভোগ করেন। জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন ছাড়াও সুধীমহলের মতামতের ভিত্তিতে তিনি গাইবান্ধার উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড গুলো বাস্তবায়ন করবো।
জেলা জিয়া পরিষদের সদস্য সচিব খন্দকার আহাদ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা হিসেবে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বিএনপি’র মুখপত্র ভয়েজ অব বিএনপি;র ধানের শীষ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে দলের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি এক সময় ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ২০১৭ সালের কাউন্সিলের মাধ্যমে তিনি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান। তিনি বর্তমান সরকার বিরোধী আন্দোলনের কারণে কারাবরণ করেন। তিনি এলাকার উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে জানান।
এদিকে সদ্য বিএনপিতে যোগদানকারি জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার গাইবান্ধা পৌরসভার কমিশনার এবং পরবর্তীতে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে পর পর দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পেলেও পরে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্দেশে রির্টার্নিং অফিসারের কাছে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ২০০৯ সালে তিনি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। আব্দুর রশিদ সরকার জানান,জাতীয় পার্টিতে তার মূল্যায়ন না হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং বিএনপির মহাসচিবের সাথে আলোচনা করেই দলের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। এখন দেখার বিষয় কে দলীয় মনোনয়নপত্র পান। দলের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনগণ গভীর আগ্রহে এর জন্য অপেক্ষা করছেন।
উল্লেখ্য , একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটির একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত সদর আসন। এবার নির্বাচনে তারা তিনজন সহ ১১ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র দিয়েছেন এ উপজেলার ১০১ টি কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫ শত ৭৮ জন ভোটার । এ আসনে নারী ভোটার ১ লক্ষ ১ হাজার ৭ শত ৬৬ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৬২ হাজর ৮ শত ১২ জন। এ আসনে ভোট গ্রহনে ১০১ জন প্রিজাইডিং অফিসার,৬৬৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার,১৩৩০ জন পোলিং অফিসার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন ।