
আবাসিক শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে গাইবান্ধার শাহীন ক্যাডেট স্কুল এন্ড কোচিং শুক্রবার রাতে বন্ধ করে পালিয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে শিক্ষার্থী অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারী এমনকি বাড়ির মালিকও চরম বিপাকে পড়েছে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের শাহীন ক্যাডেট স্কুল এন্ড কোচিং গাইবান্ধা শাখাটি ২০১৬ সাল থেকে শহরের মাস্টারপাড়ায় চারতলা একটি ভবনের দুটি তলা ভাড়া নিয়ে আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্লে গ্র“প থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ১শ’ ৩৩ জন ছাত্রছাত্রী শিক্ষা গ্রহণ করছে। এরমধ্যে আবাসিক ছাত্রীছাত্রী রয়েছে ১৫ জন। শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন আদায় করে নিয়ে আবাসিক ১২ জন শিক্ষার্থীদের তালাবদ্ধ করে রেখে শুক্রবার রাতেই পালিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও হিসাব রক্ষক। এরমধ্যে আটকে পড়া তিনজন ছাত্রী ও ১২ জন শিক্ষার্থীকে পরে বাড়ির মালিক তালা খুলে তাদেরকে মুক্ত করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় ২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন এবং তাদের প্রতিমাসে বেতন থেকে কর্তৃনকৃত জমা টাকাও পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া দু’মাসের বাড়ি ভাড়া ৮৬ হাজার টাকা এবং ৭০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখেছে। ঘটনাটি নিয়ে গাইবান্ধার সর্বমহলে তোলপাড় শুরু হয়।
ফলে জেলা প্রশাসক সেবাষ্টিন রেমার নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছা. রোখছানা আকতার, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রওনক জাহান এবং গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারাও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
জেলা প্রশাসক সেবাষ্টিন রেমা তদন্তকারি কর্মকর্তাদের কাছে সমস্ত অভিযোগ অবগত হয়ে টাঙ্গাইলের এই কোচিং সেন্টারের মূল পরিচালক মাহমুদুল হাসান শাহীনের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন এবং তাকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।