
সংবিধান মোতাবেক কারাগারে কোনো আদালত স্থাপন করা যায় না। তার কারণ হলো সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বিচার হতে হবে প্রকাশ্যে এবং জনগণের উপস্থিতিতে। সরকার দেশের আইন-কানুন না মেনে বে-আইনিভাবে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
বুধবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাকক্ষে কারাগারের আদালতে খালেদা জিয়ার বিচার এক রুদ্ধদার বৈঠক শেষে এ অভিযোগ করেন তিনি। বারের সভাপতি খালেদা জিয়ারও অন্যতম আইনজীবী।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিনিধি সেখানে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখেছে একটি অন্ধকার কূপ, গুহা। চব্বিশ ফুট দৈর্ঘ্য ও চব্বিশ ফুট হলো তার প্রস্থ। খালেদা জিয়া এত অসুস্থ্য যে তিনি আসতে পারেননি। তবুও তাকে হুইল চেয়ারে করে জোর করে নিয়ে এসেছে। সংবিধানে আছে জোর করে কাউকে আনা যাবে না, বিশেষ করে অসুস্থ মানুষকে। আমরা আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, এটা বেআইনি আদালত। তাই এটার পরবর্তী কি পদক্ষেপ হবে সেইটা আমরা আলাপ আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব এবং আপনাদের জানাবো।
আদালত গঠনে সংবিধান লঙ্ঘনের কিছুই ঘটেনি আইনমন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জয়নুল আবেদীন বলেন, তাহলে কি দেশে এখন সামরিক শাসন চলছে? এটা আইনমন্ত্রী জবাব দেবে। কর্ণেল তাহেরের যখন বিচার হয়েছে তখন দেশে সামরিক আইন ছিলো। সেখানে কোনো সাংবিধানিক আইন ছিলোনা। তাহলে বুঝতে হবে তারা আইন মানেনা। আইনমন্ত্রী যদি দেশের আইন না মানে তাহলে পরে সে দেশে বিচার ব্যবস্থা কিভাবে চলবে?
এর আগে সকালে বকশী বাজারের আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে উপস্থিত হয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, আইনের বিধি বিধানের বাইরে তারা যাবেন না। আদালতের গত তারিখের নির্দেশ অনুসারে এই মাঠে এজলাস বসার কথা। এখন অন্য কোথাও স্থানান্তর হলে সেটা আদালতের মাধ্যমেই তাদের জানাতে হবে। এরপরই তারা পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, বুধবার হঠাৎ করে অন্ধকার কারাগরে একটি আদালত গঠন করা হয়েছে। অতীতে আমরা কখনো দেখিনি এবং বাংলাদেশে কেন পাকিস্তানের ইতিহাসেও নেই যে সাংবিধানিকভাবে কারাগারে কোনো আদালত হতে পারে। যদি দেশে সামরিক শাসন হয় সেক্ষেত্রে যা ইচ্ছা তা করতে পারে।