
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমাদের আগামীকালের (রবিবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা হবে ঐতিহাসিক। দলের শীর্ষ নেতারা আগামী দিনের কর্মসূচির বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেবেন।
শনিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জনসভার অনুমতি পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি একথা বলেন। এই জনসভায় গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বক্তব্য রাখবেন। যথা সময়ে জনসভায় যোগদানের জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ ঢাকাবাসীকে অনুরোধ জানান তিনি।
রিজভী বলেন, আমাদেরকে দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জনসভার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ‘আগামীকাল দুপুর ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ইনশাল্লাহ, সফল জনসভা হবে।
নির্বাচনীকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক কী হবে, তার দিক নির্দেশনা এ জনসভায় দলের শীর্ষ নেতারা দেবেন বলে জানান তিনি।
এ ছাড়াও সারা দেশে গতকাল বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ৫৮টি ‘গায়েবী’ মামলা হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘মোট ৫৮টি গায়েবী মিথ্যা এজাহার নামীয় মামলা করা হয়েছে। এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৩৭৪০ জন নেতাকর্মীকে এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৫৭০০ জন নেতাকর্মীকে।’
এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব নেতাকর্মীদের রবিবারের জনসভায় অংশ নেয়ার জন্য আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
এর আগে শনিবার সকাল ১১টার দিকে ২২ শর্তে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দীতে জনসভার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে রিজভী জানান, বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বৃহস্পতিবার জনসভার তারিখ পরিবর্তন করে বিএনপি। শনিবার রাজধানীর দলটির সমাবেশ করার কথা থাকলেও সেটি রোববার করতে চেয়ে লিখিত আবেদন জানানো হয়।