
এএফসি অনূর্ধ্ব–১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১০-০ গোলে বাহরাইনকে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
সোমবার প্রথম মাঠে নেমে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হয় বেলা সাড়ে তিনটায়। স্বাগতিকদের প্রথম বাধা ছিল বাহরাইন। এর আগে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ডামাডোলের মধ্যেই শনিবার ঢাকায় শুরু হয়েছে এএফসি অনূর্ধ্ব–১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব।
বাংলাদেশের জয়ে জোড়া গোল করে আনুচিং মোগিনি, মারিয়া মান্ডা ও শামসুন্নাহার (জুনিয়র)। বাকি চার গোল করে সাজেদা খাতুন, শামসুন্নাহার (সিনিয়র), আনাই মোগিনি ও তহুরা খাতুন।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশ ১১২তম স্থানে। বাহরাইন ৮০তম। কিন্তু লড়াইটা যখন বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায়, ৩২ ধাপ পেছনে থাকা বাংলাদেশকেই ধরা হচ্ছে ফেবারিট।
মেয়েদের ফুটবলে এই প্রথম বাহরাইনের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। গত পরশু বাছাইপর্বের শুরুর দিনই যারা ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে লেবাননের কাছে। পরশু মাঠে বসে লেবানন-বাহরাইন ম্যাচ দেখে তাদের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে একটা মোটামুটি ধারণাও নিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ।
গত এপ্রিলে দুবাইয়ে পশ্চিম এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে ছয় দলের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিল বাহরাইন। এর বাইরে মাত্র দুই মাসের প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকায় এসেছে দলটি। প্রস্তুতির বিচারে এদিক দিয়ে অনেক এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সারা বছরই মেয়েরা অনুশীলনের ওপরে থাকে। এর মধ্যে এক বছরের ব্যবধানে মেয়েরা খেলেছে দুটি অনূর্ধ্ব–১৫ সাফ ফুটবল ও হংকংয়ে জকি কাপ। একটিতে রানার্সআপ হলেও দুটিতে হয়েছে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। ফলে দলের সব খেলোয়াড়েরই আছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। বড় মঞ্চে এর আগেও জ্বলে উঠেছে যে মেয়েরা। তহুরা-মণিকারা আজ থেকে আবারও সামর্থ্যের সেই ঝলক দেখাতে প্রস্তুত।
২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই অনূর্ধ্ব–১৬ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নাম লিখিয়েছিল বাংলাদেশ। গতবারের চেয়ে এবার দলসংখ্যা বেড়েছে বাছাইপর্বে। তাই গত আসরের মতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেই চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার সুযোগ থাকছে না। ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা দুই রানার্সআপ দলকে খেলতে হবে দ্বিতীয় রাউন্ডে।