
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দামগাড়ী গ্রামে গত সোমবার রাতে দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্বামীর নির্যাতনে সুর্বণা বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর ঘর তালাবদ্ধ করে সুবর্ণার লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজন। ৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দামগাড়ী গ্রামের সুমন মিয়ার সাথে প্রায় ৪ বছর আগে পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের আব্দুস সোবাহান আলীর মেয়ে সুবর্ণা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবী করে আসছিল সুমন মিয়া। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। একাধিকবার পারিবারিকভাবে শালিস বৈঠকের আয়োজন করে বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সমাধান হয়নি। গত সোমবার রাতে স্বামী সুমন মিয়ার সাথে যৌতুক নিয়ে সুবর্ণার ঝগড়াঝাটি হয়। একপর্যায়ে সুমন মিয়া সুবর্ণাকে বেদম মারপিট করে এবং তার গলা চেপে ধরে এতে সুবর্ণা মারা যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে সুমন মিয়া ও পরিবারের লোকজন সুবর্ণার লাশ ঘরে ফেলে রেখে দরজায় তালা লাগিয়ে গা ঢাকা দেয়।
মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা ওই বাড়ীতে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে সেখানে গিয়ে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পায়। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় প্রতিবেশীরা গ্রাম পুলিশকে খবর দেয় এবং গ্রাম পুলিশ গোবিন্দগঞ্জ থানাকে এব্যাপারে অবহিত করে। পরে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা তালাবদ্ধ দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ঘরের মেঝেতে সুবর্ণার লাশ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
গোবিন্দগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ মুজিবুর রহমান জানান, গলাসহ লাশের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকান্ড বলে মনে করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।