
গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রকাশিত প্রথম দৈনিক পত্রিকা দৈনিক ঘাঘট-এর ২৮তম বর্ষ পূতি উপলক্ষে গতকাল বুধবার গাইবান্ধা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উউপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নান মিয়া ও গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক ঘাঘট-এর সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আব্দুস সামাদ সরকার বাবু।
সূচনা বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাহিত্য ছড়াকার সাংবাদিক আবু জাফর সাবু। এতে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা প্রবীণ সাংবাদিক বিশিষ্ট সাহিত্যিক গোবিন্দলাল দাস, প্রেসক্লাব সভাপতি কে.এম. রেজাউল হক, আওয়ামী লীগ নেতা খান মো. সাঈদ হোসেন জসিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দৈনিক ঘাঘট পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার মো. তৌফিকুল ইসলাম, ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান, দৈনিক ঘাঘট পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো. আব্দুল মাজেদ সরকার, শফিউল আলম বাবু, আনোয়ার হোসেন, শাহরিয়ার প্রমুখ।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, গাইবান্ধা শহর থেকে একটি দৈনিক পত্রিকা নিয়মিতভাবে ২৮ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে এটা সত্যি দুঃসাহসিক কাজ। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দৈনিক ঘাঘট প্রকাশিত হয়ে গাইবান্ধার উন্নয়ন এবং মানুষের সুখ দুঃখের কথা তুলে ধরছে, তা থেকে প্রশাসন উপকৃত হচ্ছে এবং সেক্ষেত্রে অনেক পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে।
বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, পুলিশ এবং সাংবাদিকরা পরস্পরের সম্পুরক। উভয়ের কাজ একই ধরণের। সমাজে অসংগতি দুর করতে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিসি’তি স্বাভাবিক রাখতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দৈনিক ঘাঘট পত্রিকা থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহ করে অনেক সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিয়েছি। এজন্য দৈনিক ঘাঘট প্রশংসার দাবিদার।
বিশেষ অতিথি পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন বলেন, গাইবান্ধার মত পিছিয়ে পড়া জেলা থেকে একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করা আসলেই দুঃসাধ্য ব্যাপার। ঘাঘট সম্পাদক উদ্যম প্রচেষ্টার মাধ্যমে সেই নব্বই দশক থেকে আজ পর্যন- পত্রিকাটি নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে আসছে। এই পত্রিকাটি প্রকাশ পাওয়ায় স’ানীয়ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছি আমরা।
জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মেয়র, সাংবাদিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ২৮ বছরের পূর্তিতে বিশাল আকারের একটি কেক কেটে দৈনিক ঘাঘটের দীর্ঘায়ু কামনা করে। এর আগে রেলওয়ে কলোনী মসজিদে বাদ জোহর দোয়া খায়েরের আয়োজন করা হয়।