
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন,বঙ্গবন্ধু এদেশে ইসলামের প্রচার প্রসারে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা ও বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে জায়গা বরাদ্দ করেছেন। হজযাত্রীদের জন্য ‘হিজবুল জাহাজ’ ক্রয় করেছেন।
শুক্রবার সকালে আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি আয়োজিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের পাঁচ দিনব্যাপী রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামের জন্য জাতির জনকের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জাতির পিতা মদ, জুয়া ও হাউজি নিষিদ্ধ করেছেন। রেসকোর্স ময়দানে ঘৌড়দৌড় নিষিদ্ধ করেছেন।
হানিফ বলেন, মানুষের মাঝে নৈতিকতা, সততা ও মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে ইমাম ও আলেম সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের নৈতিক অধঃপতন সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা। মানুষের নৈতিকতা, সততা ও মূল্যবোধ কমে যাচ্ছে। মানুষের নৈতিকতা, সততা ও মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে পারে ইমাম ও আলেম সমাজ।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমরা চাই খালেদা মুক্তি পাক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। তিনি যদি নিজেকে নির্দোষ ভাবেন তাহলে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে মুক্ত করুন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ও নিরাপত্তা বিবেচনা করে কারাগারের পাশে আদালত স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়ে হানিফ বলেন, বিএনপি সংবিধান লংঘনের অভিযোগ করছে। বিএনপির নিকট প্রশ্ন করতে চাই, জিয়াউর রহমান যখন কারাগারের ভেতরে আদালত বসিয়ে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দিয়েছে তখন কী সংবিধান লংঘিত হয়নি?
হানিফ আরো বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দণ্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন। খালেদার মুক্তি একমাত্র আদালতে মাধ্যমে হতে পারে। এছাড়া মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে তিনি মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়া মুক্তির আর কোনো পথ নেই।
জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ইসলামের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর জামায়াতে ইসলামী। তারা ইসলামকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ওই দলটি ধর্মের দোহাই দিয়ে একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। গনিমতের মাল বলে নারীদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে।
অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন। অন্যান্যদের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গর্ভনর সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রেস ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন মো. আবু আহসান ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ রফিক উল ইসলামসহ ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং চার শতাধিক ইমাম উপস্থিত ছিলেন।