
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এ সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগ কোন পাল্টা সমাবেশ করবে না। নেতাকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করবে না। শুধু সতর্ক অবস্থানে থাকবেন, কিন্তু আক্রমণ করবেন না।’
বুধবার পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন কাদের। উপজেলার গোপালবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে এই জনসভা হয়। এসময় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহীবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ সদরউদ্দিন খান, রাজবাড়ী-২ আসনের সাংসদ জিল্লুল হাকিম। সভা পরিচালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী বিশ্বাস। এ সময় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী, পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আবদুল জব্বার উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম শফিকুল মোর্শেদ আরুজ।
কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেবে না। পাল্টা কর্মসূচি দেয় তারা, যারা ভয় পায়। আমরা ভয় পাই না। কিন্তু আপনারা রাজপথে থাকবেন। কাউকে রাজপথ দখল করে সভাসমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।’
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা আগে কাউকে আক্রমণ করবেন না। কিন্তু যদি আপনাদের আক্রমণ করে, তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’
আগামী সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে কাদের বলেন, সবার আমলনামা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে রয়েছে। মোটরসাইকেল শোডাউন, বড় বড় ব্যানার, ফেস্টুন লাগিয়ে মনোনয়ন পাওয়া যাবে না। যার জনপ্রিয়তা বেশি, যিনি মানুষের মন জয় করতে পেরেছেন, নির্বাচনে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। কেউ ঘরের মধ্যে ঘর তুলবেন না, মশারির মধ্যে মশারি খাটাবেন না।’
বিএনপি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরর বক্তব্য, ‘বিএনপি একটি ভুয়া পার্টি। বিএনপির অর্থ হলো বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। তারা এই ঈদ না সেই ঈদ করে ১০ বছর কাটিয়ে দিল। ১০ বছর চলে গেলে মানুষ আর কয় বছর বাঁচে।’
জনসভার আগে ওবায়দুল কাদের রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক ও উপজেলার চরলক্ষ্মীপুর থেকে পাংশার শিয়ালডাঙ্গী পর্যন্ত সড়কের পুনর্নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। বেলা সোয়া দুইটায় জেলা আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। শহরের শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে এই কর্মিসভার আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রথমে আগামী বৃহস্পতিবার পরে শনিবার ঢাকায় জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার ১৪ দলের এক সভায় শনিবারই ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে জোটের সমাবেশের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ নাসিম। সভা শেষে জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নেতা-কর্মীরা এলাকায় প্রস্তুত থাকবেন। কারও নামে বা কোনো দলের নাম উল্লেখ না করেই নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নাসিম বলেন, ‘ওই অপশক্তি যেন মাঠে নামতে না পারে। ওদের মাঠে প্রতিহত করবেন, রাস্তায় প্রতিহত করবেন।’
১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়কারী নাসিমের এই ঘোষণার পর দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি বেশ উত্তাপ ছড়ায়।সূত্র-আরটিএনএন