
রাজধানী ঢাকার আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলো থেকে কোনো জেলার উদ্দেশ্যে আজও বাস ছেড়ে যায়নি। বাসমালিক ও পরিবহন শ্রমিকেরা বলছেন, নিরাপত্তার কথা ভেবে তারা বাস বের করছেন না। এতে সারাদেশে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কিছু গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। এরপর থেকে বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন খাতের মালিক ও শ্রমিকেরা।
এদিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পর, পরিবহণ মালিক সমিতির নেতারা বলেছেন, পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ হলেই সড়কে গাড়ি নামাবেন তারা।
শুক্রবার সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান আগের কয়েক দিনের মতো ছিল না। তার মধ্যে পরিবহন মালিক কিংবা শ্রমিক সংগঠনগুলোর কোনো ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধের কারণে সারাদেশে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়ত উল্যাহ বলেন, ‘ছাত্ররা বাস ভাঙচুর করছে, যার জন্য বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
বাস চলাচল বন্ধের কোনো নির্দেশনা মালিকরা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওইভাবে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ভাঙচুর করছে, তাই বাস বন্ধ রয়েছে। গত কয়েকদিনে আমাদের চারশ’র বেশি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে ৮/৯টি বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’
কবে নাগাদ বাস চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে জানতে চাইলে সঠিক দিনক্ষণ না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা ভাঙচুর বন্ধ করুক, বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আমাদের তো কোনো দাবি নেই। আমরা নিরাপদে বাস চালাতে চাই।’
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত এই পরিবহণ নেতা। তিনি বলেন, ‘তাদের সব দাবিই যৌক্তিক। আমরাও তাদের সঙ্গে একমত।’
ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আমিন বলেন, ‘ছাত্ররা যে দাবি করেছে সেটা যৌক্তিক। এখন তাদের দাবি পূরণ হয়েছে, ঘরে ফিরে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা উচিত।’