
রাজশাহীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস দোকানের মধ্যে ঢুকে গেলে স্কুলছাত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আরও অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর নওদাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নগরীর শাহ মখদুম থানার মোড় এলাকার মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে ইসমাইল হোসেন ওরফে পিংকু (২৪), মোহাম্মদ আলীর ছেলে সবুজ ইসলাম (৩২) এবং নওদাপাড়ার ভাড়ালিপাড়া এলাকার রুস্তম আলীর মেয়ে আনিকা খাতুন (১৩)।
নিহত ইসমাইল ও সবুজ ডিশ লাইনের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। আর আনিকা খাতুন স্কুলছাত্রী। ইসমাইল ও সবুজ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়ার পর আনিকা খাতুনের মৃত্যু হয়।
এদিকে ঘটনার পর রাজশাহীর আম চত্বর এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় তাঁরা বাসটি ও একটি ট্রাকের সামনের কাঁচ ভাঙচুর করেছে। অবরোধ চলাকালে কিছুক্ষণের জন্য রাজশাহী-নওগাঁ রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নগরীর শাহ মখদুম থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, অ্যারোবেঙ্গল (রাজ মেট্রো-০৪-০০০৪) নামে ওই যাত্রীবাহী বাসটি রাজশাহী থেকে নওগাঁ যাচ্ছিল। পথে নওদাপাড়া এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশের দোকানে ঢুকে যায়। এতে দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন পাঁচজন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে স্কুলছাত্রী আনিকা মারা যায়।
ওসি জানান, দুর্ঘটনার পর বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে দুর্ঘটনার পরই বাসচালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। ঘাতক বাসটি পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।