
ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর চতুর্থবারের মতো কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটির নেতারা।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ১৭ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বৈঠক শেষ হয়।
বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান ও ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও মীর হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য রুমিন ফারহানা, জেবা খান ও তাবিথ আওয়াল।
বৈঠকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন, দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা, নির্যাতন এবং মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা এমনটাই জানিয়েছেন।
বিএনপির কূটনৈতিক উইংয়ের এক নেতা জানান, এর বাইরে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা, জামিন প্রক্রিয়া ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়। বৈঠকে সম্প্রতি শেষ হওয়া পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের অনিয়ম ও ভোট জালিয়াতির বিষয় কূটনীতিকদের অবহিত করা হয়।
এছাড়া শনিবার ও রবিবার রাজধানীর ঝিগাতলা ও ধানমণ্ডি এলাকায় সংঘটিত সংঘর্ষের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার বিষয়টিকেও তারা প্রাধান্য দেন। এ হামলার সঙ্গে সরকারদলীয় নেতাকর্মী সম্পৃক্ত- এমন তথ্য-প্রমাণ দেন নেতারা। এর মধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নাম, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।
বিএনপি সূত্র জানায়, কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে সোমবার বিকালে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করেন বিএনপির কূটনৈতিক উইং। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।