
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ফের বাড়ল। এবার ১৩ আগস্ট পর্যন্ত তার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। এ নিয়ে পঞ্চম দফায় তার জামিনের মেয়াদ বাড়ল।
বুুধবার তার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে খালেদা জিয়ার এই জামিনের মেয়াদ বাড়াতে আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। এরপর থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি। এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মার্চ হাইকোর্ট থেকে চার মাসের জামিন পান তিনি, যা আপিল বিভাগে বহাল থাকে। এই জামিনের মেয়াদ বাড়াতে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন। এর আগে ১৮ জুলাই ওই জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তার আইনজীবীরা আরজি জানালে হাইকোর্ট ২৬ জুলাই পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়ান। সেদিনও জামিনের মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করা হলে আদালত ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছিলেন। এরপর আবার ৮ আগস্ট পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়ে।
দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর গত ১৬ মে তা বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চতর আদালত। পরে খালেদা জিয়া ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল মামলার নিষ্পত্তিতে আপিল বিভাগের আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন।
ওই আবেদন মুলতবি রেখে আপিল বিভাগ বলেছেন, খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ না হলে সময়ের প্রার্থনা বিবেচনা করা হবে। সে পর্যন্ত আবেদনটি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখা হয়েছে।
এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুইজন হলেন-মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।