
নিখোঁজের চার দিনের মাথায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পকেটে পাওয়া আইডি কার্ডের নাম্বারে যোগাযোগের পর জাতিসংঘ কর্মকর্তার বলে উল্লেখ করায় মরদেহটি কক্সবাজার থেকে নিখোঁজ ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তা সোলিমান মুলাটার বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়াদ্বীপের চর থেকে জেলারা তার অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। কক্সবাজার পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তা সোলিমান মুলাটা সোমবার থেকে নিরুদ্দেশ রয়েছে বলে বুধবার পুলিশকে জানানো হয়।
সোলিমান মুলাটা ইথোপিয়ার নাগরিক এবং ইউএনএইচসিআর এর সুরক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কক্সবাজারে কর্মরত ছিলেন। কক্সবাজারের কলাতলীর মেঘালয়ে এক আবাসিক হোটেলে তিনি ভাড়া থাকতেন। গত সোমবার থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছিল না।
তিনি আরো বলেন, ‘নিখোঁজের অভিযোগের পর তদন্তে উঠে এসেছে জাতিসংঘের ঢাকা অফিসে কর্মরত এক সহকর্মীর সঙ্গে সোলিমান মুলাটার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ওই মেয়েটি কক্সবাজারে আসে। এরপর থেকে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। আর তাই প্রায় মদ্যপাবস্থায় থাকতেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, সে কারণে সাগরের ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে সোলিমান মুলাটা।’
সোনাদিয়া থেকে স্থানীয় সূত্র জানায়, সোনাদিয়া দ্বীপের পূর্বপাড়া সাগর পয়েন্টে জেলেদের জালে আটকা পড়া একটি মরদেহ জেলেরা কূলে তুলে আনেন। মরদেহ উদ্ধারকারি জেলেরা মহেশখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর ছালামত উল্লাহর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়ায় তারা বিষয়টি ছালামত উল্লাহকে মুঠোফোনে অবহিত করেন।
জেলেদের বরাত দিয়ে ছালামত উল্লাহ জানান, মরদেহের পরণে থাকা কোর্টের পকেটে তিনটি ডলার এবং ১০ হাজার টাকাসহ একটি কার্ড এবং কিছু কাগজপত্র পাওয়া যায়। কার্ডটিতে থাকা নম্বরে কল দিলে অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয় আইডি কার্ডটি জাতিসংঘের কর্মকর্তার। অর্ধগলিত মরদেহটি সোনাদিয়ার চরের মাছ ব্যবসায়ী মহেশখালী পৌসভার পুটিবিলা এলাকার নুর মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এরপর বিষয়টি মহেশখালী থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, সোনাদিয়ার চরে একটি মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে এসআই তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় বিকেলের দিকে মরদেহটি থানা সদরে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।