
‘মামলা এখন আর কোনো সমস্যা নয়। আমার নামে ৮৬টি মামলা আছে। আমাদের কোনো কোনো নেতার বিরুদ্ধে ১৫০-২০০ মামলা আছে। মামলা দিয়ে প্রতিবাদ বন্ধ করা যাবে না’ বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই মন্তব্য করেন। এর আগে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সর্বশেষ আদালতে তার নামে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে এ-সংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ তিন নেতার বিরুদ্ধে আজ সোমবার দুপুরে মামলাটি করা হয়। ফখরুল ছাড়া অন্য দুই নেতা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহার আদালতে মামলাটি করেন এ বি সিদ্দিকী। শুনানি শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যে অডিও ক্লিপ থেকে শোনা যায়, কুমিল্লায় অবস্থানরত নওমি (ব্যারিস্টার মিলহানুর রাহমান নাউমি) নামের এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। নওমিকে তিনি বলছেন ঢাকা এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে।
আরজি থেকে আরো জানা যায়, অন্যদিকে মির্জা ফখরুল ও রুহুল কবির রিজভীর হুকুমে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছাত্রদলের লোকজন ঢুকে পড়ে। ঢাকার জিগাতলায় ছাত্রদলের কর্মীরা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ও বিভিন্ন জায়গায় পরিবহনে অগ্নিসংযোগ, ছাত্রী ধর্ষণ ও ছাত্রছাত্রীদের নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করে।
‘ঐক্য ছাড়া মুক্তি কঠিন’
দেশে চলমান ভয়ংকর অবস্থা থেকে জাতীয় ঐক্য ছাড়া মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শক্তি সব তছনছ করে দিচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা করে তাদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে। রাষ্ট্রের মেরামত প্রয়োজন, ছাত্ররা এটাই আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে। এসব অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। এ ছাড়া এই ভয়ংকর অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন।’
‘কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। তাদের আন্দোলন আমাদের সবাইকে নাড়া দিয়েছে। ছেলেরা আমাদের এক জায়গায় আনার সুযোগ করে দিয়েছে। এখন দায়িত্বটা সব রাজনৈতিক দলের। আমরা সেই ডাকে সাড়া দিয়ে জাতীয় প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সেই দায়িত্ব পালন করব।’