
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছে এর মধ্যে শিবির নেতাদের দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ দাবি করেন তিনি।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘এসব আন্দোলনে সুবিধাবাদী বা স্বার্থান্বেষী মহলের সম্পৃক্ততা দেখা যায়। আমরা আন্দোলনের বিভিন্ন ভিডিওতে দেখেছি শিবিরের নেতাদের, বিএনপির ছাত্রদলের নেতাদেরও দেখেছি। তাদের নিজেদের মধ্যে যেই কথোপকথন তাও আমরা শুনেছি। শুনে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তারা এই কোমলমতি শিশুদের দিয়ে একধরনের অপরাধ সংঘটন করিয়ে দিতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আরও দেখেছি স্কুলের ছাত্রদের স্কুল ড্রেস পরে আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে বলা হচ্ছে। ছাত্রদের খাবার দিয়ে তাদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এই কোমলমতি ছাত্ররা তাদের সহপাঠী হারানোর বেদনায় সিক্ত হয়ে সহানুভূতি জানাচ্ছে। কিন্তু এটা ভিন্ন দিকে টার্ন নিতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজনৈতিক ইন্ধন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। কোন পক্ষের কূটচালে আন্দোলনে সহিংসতা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিত সামাল দেওয়ার আগেই শিক্ষার্থীরা ক্ষতির শিকার হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আন্দোলনে উস্কানির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এ ছাড়া রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলেরও ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে নোংরা কথা প্রচার করছেন, অপপ্রচারটা বন্ধ করুন। কারণ এ অপপ্রচারে আমাদের ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এরা হয়তো কোনো এক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যেতে পারে। এর পেছনে রাজনৈতিক অভিলাষ একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছি।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের নেতাদের আমরা দেখেছি। বিএনপির ছাত্রদলের আমরা দেখেছি। ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে আমরা মনে করি।’ তিনি আরো বলেন, ‘যদি কিছু ঘটে যায় এর দায়দায়িত্ব কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নিতে পারবে না। সেজন্য তাদের নিরাপত্তার জন্য যেন তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাসায় ফিরে যায়।’
শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে গেলে পরবর্তীতে কোনো বিড়ম্বনা বা আক্রমণের মুখে পড়তে হবে না বলে আশ্বস্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।