
‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি যতই রঙিন খোয়াব দেখুক, ২০০১ সালের মতো সেই নীলনকশার নির্বাচন বাংলাদেশে আর হবে না’ বলে হুশিয়ার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পটিয়া বাইপাস সড়কের নির্মাণকাজের অগ্রগতি সরেজমিনে দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পটিয়া বাইপাস সড়কের নির্মাণকাজের অগ্রগতি দেখে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্থানীয় সাংসদ শামসুল হক চৌধুরীর পটিয়ার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, সব দলকে নির্বাচনে আনতে উদ্যোগ নেবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থেকে শুরু করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। এখানে সরকারের করণীয় কিছু থাকবে না। তবে নির্বাচন কমিশন যে বিষয়ে সহযোগিতা চাইবে, সরকার সেটা করে দেবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব দলকে আনতে সরকারের কোনো উদ্যোগ আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। নির্বাচনের উদ্যোগ নেবে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করাসহ সব নির্বাচনী কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে সরকারের করণীয় কিছু নেই। নির্বাচন কমিশন কোনো সহযোগিতা চাইলে সরকার শুধু সেই সহযোগিতা দেবে।
নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভারত সফর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা ভারত সফর করিনি। আমার নেতৃত্বে যে টিম ভারতে গিয়েছিল, আমরা বিজেপির সেক্রেটারি জেনারেল রামমাধব সাহেবের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। বিএনপি তো কোনো আমন্ত্রণে যায়নি। তারা নিজেরা নিজেরা গেছে।
তিনি বলেন, ভারতে গিয়ে আমরা পার্টি টু পার্টি, পিপল টু পিপল কন্ট্যাক্টের কথা বলেছি। আমাদের সঙ্গে মোদি সাহেবেরও দেখা হয়েছে। সেখানেও আমরা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলিনি। আমরা আমাদের ইন্টারেস্ট নিয়ে কথা বলেছি। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বলেছি। তিস্তা নিয়ে কথা বলেছি।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। পরাজয়ের পর সেই নির্বাচনে ‘স্থূল কারচুপির’ অভিযোগ এনেছিল আওয়ামী লীগ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, গত বছরের শেষের দিকে পটিয়া বাইপাস সড়কের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি নির্মাণ করতে ব্যয় হচ্ছে ১০৩ কোটি টাকা। আগামী বছরের জুনে প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা।
প্রকৌশলী তোফায়েল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পটিয়া সদর অংশে ভয়াবহ যানজট থেকে রক্ষা পাবে যাত্রীরা। একই সঙ্গে পটিয়া পৌর এলাকাও যানজটমুক্ত হবে।