
ফুটবল খেলায় কথাকাটির দোহাইয়ে অভ্যান্তরিণ কোন্দোলের সূত্রে ধরে নিজের শক্তির জানান দিতে আধিপত্য বিস্তার করতে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা সদর বোনারপাড়ায় কথিত ছাত্রলীগের হামলায় যুবলীগ কর্মী মুকুল মিয়া (২৫) নিহত এবং ওই সংগঠনের অপর ৪ কর্মী আহত হওয়ার ঘটনায় ডিপুটি স্পিকার কর্তৃক স্বঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ১৪৮/১৪৯/৩০২/৫০৬ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত যুবলীগ কর্মী মুকুল মিয়ার ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে গত শুক্রবার রাতে সাঘাটা থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মামলা গ্রহণের পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারে সাড়াশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ, এলাকাবাসি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,ফুটবল খেলা বিষয়ে নিয়ে হলেও মুলত অভ্যান্তরিন কোন্দলের সূত্র ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি সমর্থিত সাঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে তাঁরই (ডেপুটি স্পিকার) সমর্থক যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে আবারো নতুন করে ফুটবল খেলার মাঠ হতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথমে দু’গ্রুপের মধ্যে এক সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই যুবলীগ কর্মী আহত হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় যুবলীগ কর্মী মুকুল মিয়া বোনারপাড়া রেল স্টেশনে এক চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় কথিত স্বঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুল ইসলাম দলবল নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এতে মুকুলসহ আরও দুই যুবলীগ কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মুকুল মিয়াকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য,সাঘাটা উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো দুইভাগে বিভক্ত। একটি গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি সমর্থিত এবং অপরটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন সমর্থিত। নিহত মুকুল সহ আহতরা ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আসামীগণ ডিপুটি স্পিকার গ্রুপের সক্রিয় কর্মী।