1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ন
১২ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-০৩ নির্বাচনী আসনে বিএনপি’র প্রার্থী মনোনয়ন পেতে প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অ্যাড. নিয়ন ৫ দফা দাবীতে গাইবান্ধায় জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল মওলানা ভাসানী সেতু পরিদর্শনে পরিকল্পনা সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা কর্মসূচী বাস্তবায়নের দাবীতে পলাশবাড়ীতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল পলাশবাড়ীতে ৫ দফা দাবী আদায়ে জামায়াতের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল গোবিন্দগঞ্জে জাতীয় গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ পলাশবাড়ীতে সার ডিলার মা এন্টারপ্রাইজকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা যাত্রা শুরু করলো পলাশবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব, আংশিক কমিটি ঘোষণা গাইবান্ধায় দুর্গোৎসবের প্রতিমায় শেষ আঁচড় দিচ্ছেন শিল্পীরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবীতে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে জেলা জামায়াতের মতবিনিময়

শিক্ষিত জাতি গড়তে চাই, তাই কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৮
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষা করে দেশকে আগামী দিনে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে চাই, যেন আগামী দিনেও আমাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে।’
‘এজন্য সরকার শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছে এবং শিক্ষার বহুমুখীকরণ ও কারিগরি শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে যাতে এই বিশাল জনসংখ্যাকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তরিত করা যায়’, -যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। খবর বাসসের।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে গণভবনে পরীক্ষার ফলাফলের সার সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) এবং সমমানের আলিম, এইচএসসি কারিগরি, এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট) এবং ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ ডিআইবিএস) পরীক্ষা দেশের আটটি শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় গত এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে শিক্ষার্থীদের ওপর আস্থা পুণর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমাদের ছেলে- মেয়েরা অনেক অনেক মেধাবী। কাজেই সেই মেধাকে আমাদের দেশ গড়ার কাজে লাগাতে হবে।’

দেশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ এবং সমুদ্র সীমানা অর্জনের ফলে সার্বিক ভাবে একটি উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা সময়ের প্রয়োজন হিসেবে দেখা দিয়েছে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন বলেই জাতির পিতা শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কারণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর পরই ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। যার রিপোর্ট তিনি বাস্তবায়ন করে যাবার মত সময় পাননি।

বঙ্গবন্ধুকে ‘৭৫ এ নির্মমভাবে হত্যার পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই ঐ শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের কোন গুরুত্ব দেয়নি। কারণ, তারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে হত্যা ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। তাদের ক্ষমতা ভোগ করার দিকে যতটা দৃষ্টি ছিল, দেশ গড়ার দিকে ততটা ছিল না। বাংলাদেশের জনগণ ২১টি বছর এভাবে ভোগান্তির শিকার হয়। আওয়ামী লীগ ‘৯৬ সালে সরকার গঠনের পর সেই শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট নতুন ভাবে তৈরী করে শিক্ষার মান উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে- বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে না পারায় সেই রিপোর্ট পুণরায় পরিত্যক্ত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরবর্তীতে ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করে সেই শিক্ষা রিপোর্টের আলোকে যুগান্তকারি শিক্ষনীতিমালা গ্রহণ করতে সক্ষম হই। যার ফলে আজকে শিক্ষাকে মানসম্মত, আধুনিক এবং আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন করা হয়েছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যেন আমরা চলতে পারি সেদিকে লক্ষ রেখেই এই উদ্যোগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষা ব্যবস্থা ও ফল প্রকাশ পদ্ধতি সংস্কার, কোর্সগুলোকে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন করা এবং মাদ্রাসা ও কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাকেও গুরুত্ব প্রদান করা।

প্রধানমন্ত্রী এসময় ’৯৬ পরবর্তী সরকার গঠনের পর প্রতিটি জেলাকে নিরক্ষর মুক্ত করার উদ্যোগও পরবর্তী মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না আসতে পারার কারণে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার তাদের মেয়াদে শিক্ষার হার না বাড়িয়ে আমাদের রেখে যাওয়া ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশকে কমিয়ে আবার ৪৫ শতাংশে নিয়ে আসে। যেমনটি ’৯৬ সালে সরকার গঠনের সময় পেয়েছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন থেকে শুরু করে কারিগরি শিক্ষার দিকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। কারণ, কারিগরি শিক্ষা কর্মসংস্থানের আরো সুযোগ সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি তার সরকার বিজ্ঞান শিক্ষাকেও গুরুত্ব দেয়।

শেখ হাসিনা এ সময় দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করা এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে তার সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরে বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালার লক্ষ্যই হচ্ছে প্রতিটি গ্রামকে সব রকরমের নাগরিক সুবিধা দিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলা। কারণ, সরকার হিসেবে জনগণের সেবা করা এটাই আমাদের কর্তব্য।

কারিগরি ও মাদ্রাসাসহ ১০টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানগণ নিজ নিজ শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল একে একে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

ভিডিও কনফানেন্সের মাধ্যমে এই ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান। নেত্রকোনা জেলা এ সময় গণভবনের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত ছিল।

‘সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চাই’- জাতির পিতার বক্তব্যের এই উদ্ধৃতির আলোকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে সেইভাবেই আমরা তাদেরকে গড়তে চাই।’

তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতিরোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এবারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, বোর্ড এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশে নয়, ডিজিটালাইজেশনের কারণে অনেক উন্নত দেশেও এ ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

এবার আধাঘন্টা আগে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং পরীক্ষার ২৫ মিনিট আগে কয়েকটি সেটের মধ্য থেকে কোন প্রশ্নের সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা মোবাইল এসএমএস’র মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে জানিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনযোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, নকল করতে হবে কেন, একটু মনযোগী হলেইতো পরীক্ষায় পাশ করা যায়।

শিক্ষাকে জীবনের অন্যতম সম্পদ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এই সম্পদ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং মাদক থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে থাকার জন্য সতর্ক কওে দিয়ে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য অভিভাবক, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিসহ সকল শ্রেনীপেশার মানুষের প্রতি আহবান জানান।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft