
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শহরতলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আহসান উল্লাহ খান নোমান (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাত সোয়া ২টার দিকে সদর উপজেলার ৭ নং চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নোমান নগরীর সেনবাড়ী এলাকার মঞ্জুরুল হক খানের ছেলে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ( এসআই ) তানজিল, কনেস্টেবল ইলিয়াস ও সামিউল নামে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর এলাকা থেকে গোপন সংবাদ আসে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আহসান উল্লাহ খান নোমান আরও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী নিয়ে অবস্থান করছিল। পরে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওসির নেতৃত্বে অভিযানে ওই স্থানে পুলিশের একটি চৌকশ টিম পৌঁছালে নোমানের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাথারী গুলি বর্ষণ শুরু করে। এ সময় পুলিশ ও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে।
তিনি আরো জানান, এসময় উভয়ের পক্ষের মধ্যে গুলা গুলির মাঝে পরে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নোমান গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পরে থাকতে দেখে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই ) তানজিল, কনেস্টেবল ইলিয়াস ও সামিউল নামে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ওসি আরো জানান, আহসান উল্লাহ খান নোমান পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ ১৪ টিরও বেশি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র ২ টি চাপতি, ১টি চাইনিজ ছুড়ি ও ৪৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।