1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন
৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় নবাগত ডিসি মাসুদুর রহমান মোল্লা’র যোগদান গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ অর্থের অভাবে ধান কাটতে না পারা চার কৃষকের ৩ একর জমির ধান কেটে দিলেন লালমনিরহাট কৃষকদল ‎ পীরগঞ্জে হানি ট্র্যাপের ঘূর্ণাবর্তে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার; অন্যদিকে রাসলীলা উপভোগে উন্মত্ত সহকারি শিক্ষক রামকৃষ্ণ রায়! পীরগঞ্জে খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে এসি ল্যান্ড অফিসের সামনে! উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর আবারো হামলা, উত্তপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • আপডেট হয়েছে : সোমবার, ২ জুলাই, ২০১৮
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাদের মারধর করা হয়। এতে আহত হয়েছেন ছাত্রীসহ চার-পাঁচজন। এক নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

সোমবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনের জন্য দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে আহত অবস্থায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্রলীগের নেতারা গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, তারা কোনো হামলা বা মারধর করেননি। ছাত্রলীগ দেশের আইন মেনে চলে। তারা আইন নিজের হাতে তুলে নেয় না।

উল্লেখ্য, শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলনে বাধা দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। এতে ১০ জনের মতো আহত হন। আহতরা অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তবে হামলা ও মারধরের ব্যাপারে ছাত্রলীগের নেতাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর পরই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ অধিকার ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বাধা ও হামলার প্রতিবাদে রবিবার থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরই অংশ হিসেবে রবিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের মানববন্ধনের কর্মসূচি চলাকালে হামলার ঘটনা ঘটে। কিন্তু গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস থাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি পালিত হয়নি। আজ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতির সময় ফের হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ১০টার পর থেকে আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন। ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ৩০-৪০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সেখানে আসেন। এর মধ্যে ছিলেন মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান সানি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সাঈদ বাবু, বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলামিন রহমান, বিজয় ৭১ হলের সভাপতি ফকির আহমেদ রাসেল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদি হাসান রনি প্রমুখ।

এ সময় আন্দোলনকারীরা ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তার আগেই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। তখন আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক রাশেদ আল মামুন সেখান থেকে সরে যান। যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনসহ দু’জনকে সেখানে ফেলে মারধর করা হয়। এতে চার-পাঁচজন আহত হন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফুন নাহার নীলা শহীদ মিনারে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ফারুককে ছাত্রলীগ নেতা আলামিন রহমানের একটি মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আমরা জানি না।

এ ঘটনার পর সেখানে থাকা ১৫-২০ জন আন্দোলনকারী শহীদ মিনারে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়ান। তখন সাঈদ বাবুর নেতৃত্বে ফের হামলা চালানো হয়ে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের শহীদ মিনার থেকে চলে যেতে বলেন।

আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফুন নাহার নীলা বলেন, আমরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। সেখানে হামলা করা হয়েছে। আমরা কি আমাদের কথা বলতে পারব না? প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন দিয়ে দিলে আমরা আর আন্দোলন করব না। আমরা প্রজ্ঞাপন চাই।

এ বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। পরে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিলও করে। কিন্তু সেই প্রজ্ঞাপন এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft