
সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩০২ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটা সর্বোচ্চ স্কোর টাইগারদের। সেই সাথে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি বড় স্কোরে সিরিজ জয়ের গন্ধ পাচ্ছেন টাইগাররা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে সহজেই সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তামিম ইকবাল। এটা সিরিজের দ্বিতীয় এবং ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তার। অবশ্য সেঞ্চুরি করেই সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল। তিনি ১২৪ বলে ১০৩ রান করেই আউট হন।
সেন্ট কিডসে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়ে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। শুরু থেকেই সতর্কভাবে ব্যাটিং করেছিলেন টাইগাররা। কিন্তু গত দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতায় শুরুতেই ফিরে গেলেন ওপেনার এনামুল হক। এনামুল ফিরে গেছেন ৩১ বলে ১০ রান করে দলীয় ৩৫ রানের মাথায়।
সাকিবের বিদায়ে ব্যাট হাতে মাটে নামেন মুশফিকুর রহীম। ১৪ বলে ১২ রান করে তিনিও ফিরে যান সাজঘরে। এরপর মাহমুদুল্লাহ মাঠে নেমে দৃঢ়ভাবে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। মাহমুদুল্লাহ ৪৯ বলে ৬৭ রান করেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫০ ওভারে ৩০১ রান।
এ ম্যাচের বাংলাদেশ একাদশে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ওপেনিংয়ে খেলা এনামুল হক বিজয় বাদ পড়তে পারেন এমন আলোচনা উঠলেও একাদশে জায়গা পেয়েছেনে তিনি। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো শুরুর পরও বড় কোনো সাফল্য পাননি এই ডানহাতি। দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৯ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরেছিলেন।
আলোচনা উঠে মিডল অর্ডারে ব্যর্থ হওয়া সাব্বির রহমান-মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়েও। অবশ্য এই দুজনও একাদশে রয়েছেন।
আজকের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যে জিতবে তারাই সিরিজ জয়ের সাফল্য পাবে। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ২০০৯ সালে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানেডে সিরিজ ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করেছিল সাকিব-তামিমরা। আজ জিতলে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তৃতীয় এবং তাদের মাটিতে দ্বিতীয় সাফল্য পাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ২০১২-১৩ মৌসুমের নিজেদের মাটিতে একবার সিরিজ জিতেছিল এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে সেই সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে সাফল্য পেয়েছিল লাল-সবুজের দল।