
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সয়াবিন ও ডিটারজেন্ট দিয়ে ভেজাল দুধ উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি ওই উপজেলার মহনপুরসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সাত সদস্য তদন্ত কমিটি পরিদর্শন শেষে অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় আকিজ দুগ্ধ সংগ্রহ কারখানা সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। উল্লাপাড়া উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম আকিজ দুগ্ধ সংগ্রহ কারখানা বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে সিলগালা করে দেন।
তিনি জানান, উক্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে এ প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় ভেজাল দুধ তৈরি করা হচ্ছে। এ দুধ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ১৫ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ইকবাল রউফকে আহ্বায়ক করে ১৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। গঠিত কমিটির সাত সদস্যের একটি দল সরেজমিনে মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের উল্লাাপাড়ায় তদন্তে আসেন এবং গতকাল বুধবার দিনভর ভেজাল দুধ উৎপাদন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এএসএম জুবেরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক খালেকুজ্জামান, ডিসির প্রতিনিধি উল্লাাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান, ব্র্যাকের সিনিয়র ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, মিল্ক ভিটার ডিজিএম শফিকুর রহমান ও প্রাণ ডেইরির কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের প্রধান এসএম মারুফ কবির।
দেখা গেছে, পরিমিত গরুর দুধ, সয়াবিন তেল, সোডিযাম কার্বনেট (সোডা), চিনি, লবণ ও অল্প পরিমাণ ডিটারজেন্ট মিশিয়ে ভেজাল দুধ তৈরি করা হয়। পরিদর্শন শেষে দুধ পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় আকিজ দুগ্ধ কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়। উৎপাদিত ভেজাল দুধ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, বা ক্ষতিকারক কি-না সেটি পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে তদন্ত কমিটির সদস্য ইউএনও এ প্রতিবেদককে জানান।