
‘রায় পক্ষে গেলে বিএনপি আইন মানে, বিপক্ষে গেলেই সরকারের হস্তক্ষেপ বলে প্রচার করে, আদালত বিএনপি বা আওয়ামী লীগের নিয়মে চলে না’ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার মতিঝিলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে বিআরটিসি স্পেশাল বাস সার্ভিস ও অন্যান্য প্রস্তুতি নিয়ে ডিপো ম্যানেজারদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় সড়ক পরিবহন বিভাগের সিনিয়র তথ্য অফিসার আবু নাসেরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালত খালেদা জিয়াকে কেন জামিন দিচ্ছেন না—বিএনপি নেতাদের এমন প্রশ্ন সরকারের কাছে নয়, আদালতের কাছে জিজ্ঞাসা করা উচিত।
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘যেটা তাদের বিরুদ্ধে যাবে ওটা সরকারের হস্তক্ষেপ। আর যেটা তাদের পক্ষে যাবে—আদালতের রায়—সেখানে বিচার বিভাগ স্বাধীন। তাদের পক্ষে না গেলে তারা আইন মানে না, বিচার মানে না, বিচার ব্যবস্থাও মানে না। বিষয়টা আদালতকেই জিজ্ঞেস করুন। বেগম জিয়াকে (জামিন বিষয়ে) কেন আবার আইন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। আদালত আওয়ামী লীগ-বিএনপির কথায় চলবে না। আদালত আদালতের ভাষায় কথা বলবে।’
কাদের বলেন, ‘আদালতের যে রায় তাদের( বিএনপি) পক্ষে যায় না সেখানে তারা সরকারের হস্তক্ষেপ খোঁজে। আর যে রায় তাদের পক্ষে যায় সেখানে আদালত স্বাধীন। বিএনপির স্বভাব হচ্ছে আদালতের কোনো রায় তাদের পক্ষে না গেলে আইন মানে না। বিচার মানে না। বিচার ব্যবস্থা মানে না। বেগম জিয়ার জামিন বিলম্বিত হওয়া আদালতের বিষয়। আদালত তার ভাষায় কথা বলে।’
এ সময় সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে সড়কের খোড়া-খুড়ি বন্ধ রাখা হবে। বিআরটিসির বাসের অগ্রিম টিকিট আগামী ৫ জুন হতে বিক্রি হবে। আর ঈদ স্পেশাল সার্ভিস ১৩ জুন হতে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত দেয়া হবে।’
কাদের বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে বিআরটিসির ৬টি বাস ডিপো এবং নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর ৮টি ডিপোর মাধ্যমে ঢাকার আশপাশে ঈদ সার্ভিস প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও ১১ টি ডিপো হতে ঈদ স্পেশাল সার্ভিস পরিচালিত হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাধারণ জনগণ এবার স্বস্তিতে ঈদযাত্রা করতে পারবে। এবার কোনো ভোগান্তি হবে না।
তিনি আরো বলেন, ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্টরা সজাগ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির স্পেশাল ঈদ সার্ভিসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৫ জুন থেকে। আর স্পেশাল সার্ভিসে এবার থাকছে ৯০৪টি বাস। জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ৫৪টি বাস স্ট্যান্ডবাই থাকবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে।