
‘ছোট ছোট চুনোপুটি মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও গডফাদাররা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে। এখন তাদের রাজপ্রাসাদ খালি, রাজা নেই। যতদিন পর্যন্ত মাদক নির্মূল করা যাবে না ততদিন অভিযান অব্যাহত রাখা উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
শুক্রবার ১২টার দিকে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর হয়ে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। ‘সরকারের সহযোগী হয়েও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে এরশাদ বলেন, আমরা তো বিরোদী দলের। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলাই তো আমাদের কাজ।
চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে মাদক দমন প্রয়োজন। যারা মাদক ব্যবসা করে সমাজ এবং যুব সমাজকে নষ্ট করছে তাদের মৃত্যুতে আমার কোনো শোক নেই। তবে রাজপ্রাসাদ সব খালি, রাজারা নেই। মরছে কেবল চুনোপুটিরা।
এইচএম এরশাদ বলেন, আমিও ৬ বছর জেলে ছিলাম। হাসপাতাল তো দূরের কথা চিকিৎসকের মুখ পর্যন্ত দেখতে দেয়া হয়নি। ওরা চেয়েছিল আমি যেন মরে যাই। আল্লাহ্ আমাকে রক্ষা করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেয়া ঠিক না। যেহেতু খালেদা জিয়ার স্বামী সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সেনা পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে উনি (খালেদা জিয়া) সিএমএইচ-এ বা পিজিতেও যেতে পারেন।
আসন্ন গাজীপুর, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিপূর্ণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই জয়ী হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তাদের অবস্থা ভালো। তাই নানাবিধ কারণে তারাই জয়ী হবে। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে বলে সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) আবারও আশ্বস্ত করায় আমরা দেখতে চাই নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্টুভাবে সম্পন্ন হবে।’
এদিকে ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরন করে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে আসেন এরশাদ। এ সময় জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। সফরসঙ্গী হিসেবে এরশাদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহাম্মেদ বাবলু, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর খালেদ আখতার, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকরুজ্জামান জাহাঙ্গীর প্রমুখ।