
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ রাদ আল হোসেইনকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশে মাদক নিয়ন্ত্রণে চলমান অভিযান একটি সাময়িক ব্যবস্থা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসামাত্র এই অভিযান শেষ করা হবে।
তিনি বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক অবৈধ বল প্রয়োগের কোনো অভিযোগ পেলে সরকার তা তদন্ত করবে এবং প্রমাণিত হলে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে এক বৈঠকে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তারা বাংলাদেশ ও বিশ্ব মানবাধিকার সম্প্রসারণ ও সুরক্ষা আরও নিশ্চিত করার উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন।
আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের যুবসমাজ মাদকদ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই দেশব্যাপী চলমান মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে সরকার বাধ্য হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, অভিযানে অনেক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত মাদক বিক্রেতাদের সশস্ত্র প্রতিরোধের কারণে বেশ কয়েকজন মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছে।
বৈঠকে হাইকমিশনার মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের চলমান উদারতা পশ্চিমা বিশ্বসহ অন্যান্য অনেক দেশের কাছে একটি প্রকৃত উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
এসময় তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার সাথে বাংলাদেশের সক্রিয় ও ক্রিয়াশীল অংশগ্রহণের ভূয়সী প্রশংসা করেন জেইদ রাদ আল হোসেইন।
বর্তমানে আইনমন্ত্রী ১০৭ তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে যোগ দিতে জেনেভায় অবস্থান করছেন। তিনি ৪০ সদস্যের একটি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।