
‘নির্বাচন বিতর্কিত করতে ফলাফল আগ পর্যন্ত অভিযোগ ও নালিশ করতে থাকবে বিএনপি’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার বিকেলে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল প্রমুখ।
গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারে বিএনপির দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসপি হারুনের বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের আগে কাউকে প্রত্যাহার করা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। বিএনপি নির্বাচনে জিতলে বলে কমিশন নিরপেক্ষ। আর হারলে কমিশনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করা হবে না। নির্বাচন হবে ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার’। সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে, করবে।’
আওয়ামী লীগের আমলে কোনো কলঙ্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের রেকর্ড নেই দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মাগুরা ও ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেশের মানুষ আজও ভুলে যাননি। বিএনপি তাদের আমলে ভোট ডাকাতি করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলো।’
‘গাজীপুরে কারচুপি হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ’- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের এমন হুমকির জবাবে কাদের বলেন, ‘বিএনপির এই নেতা ২০০১ সালে সকাল ১০টায় সিরাজপুর কেন্দ্রে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন- ‘এখনও ভোট শেষ হয়নি’। তাদের সময়ে নির্বাচনের ভোট সকাল ১০টায় শেষ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের এমন কোনও রেকর্ড নেই।’
গাজীপুর থেকে তুলে নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন থানা থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে- দলটির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিএনপির অভ্যাসই মিথ্যাচার করা। তারা অন্ধকারে ঢিল ছুড়েছে। অতীতেও ছুড়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন তিনি অবাধ-সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চান। আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে জনগণের কাছে আমি নৌকায় ভোট চাইতে পারি। তবে জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারে। গাজীপুরে এখনও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোটারদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।’