
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৬টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে প্রায় দেড় লাখ ভোটের জয় লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৪ লাখ ১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়রপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬১১ ভোট। জাহাঙ্গীর আলমের প্রাপ্ত ভোটের এ বড় ব্যবধান তাকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বেসরকারি ভাবে মেয়র নির্বাচিত করল।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় গণনা। এরপর রাত দুইটার দিকে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জয় লাভের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গাজীপুরবাসীর স্বার্থে সবাইকে নিযে আমরা উন্নয়ন কাজ করব, সবাইকে পথ চলতে চাই।’
গাজীপুরে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ও পাল্টপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোট চলাকালীন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের মির্জা ইব্রাহিম হাইস্কুল কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের লাঘালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের সামনে ধানের শীষের বুথে পুলিশি হামলা হয়েছে বলে দাবি করে বিএনপির কর্মীরা।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে ১০ কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার।
হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হচ্ছে। সাদা পোশাকে নেতাকর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। এ বিষয়ে জানানোর জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।’
দেশের সবচেয়ে বড় সিটি গাজীপুরে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন ও নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। এ সিটিতে এবার নতুন ভোটার একলাখ ১১ হাজার। এ ছাড়া, শ্রমিক ভোটার দুই লাখের বেশি। সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৮৮টিকে সাধারণ চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ছয়টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়।