
মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় শুরু গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোট। এরই মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে কমিশন। ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সামগ্রী।
সোমবার সকাল থেকে পুলিশি পাহারা ও বিজিবি টহলে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী বুঝে নিবেন প্রিসাইডিং অফিসার ও সহাকারী প্রিসাইডিং অফিসারগণ। সোমবার ভোটের সামগ্রী গ্রহনের পর থেকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন তারা।
এর আগে রবিবার (২৪ জুন) রাত ১২টার পর থেকে সব ধরনের প্রচার প্রচারণা বন্ধ। নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা। সার্বিক নিরাপত্তায় র্যা ব, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১২ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ভোট গ্রহণের আগের দিন সোমবার থেকে পুলিশ, র্যা ব, বিজিবি, আনসারসহ প্রায় ১২ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মাঠে থাকবে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, এরই মধ্যে পুরো নির্বাচনী এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ সাদা পোশাকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন।যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে রবিবার শেষ দিনের প্রচারণা চালিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারণার শেষ দিনে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশে। প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের প্রচার প্রচারণায় মিছিল আর শ্লোগানে নিজ নিজ এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীসহ সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।ৱ
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন।