
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না মেলায় ফিরে গেলেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
দুপুর ১২টার দিকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুকসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে আসেন।
এ সময় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের কারাফটকের দিকে যেতে বাধা দেয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় অনুমতি না থাকায় তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।
মির্জা আব্বাস বলেন, ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়সহ বিভিন্ন সময় আমরা জেল খেটেছি। ঈদ ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আমরা বিনা অনুমতিতে পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, আজকে ঈদের দিনে আমাদের নেত্রীর সাথে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ৫ বছরের সাজা ভোগ করছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে আছেন।
দলীয় চেয়ারপারসন কারাগারে থাকায় ঈদে দলটির কোনো কর্মসূচি নেই। দলীয় নেতা কর্মীদের কারাগারের সামনে অবস্থান করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। এটাই বিএনপির কর্মসূচি বলে জানান দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১১টায় কারাগারে সামনে আসেন বিএনপির অঙ্গ সংগঠন মহিলা দলের নেতা কর্মীরা। এরপর সেখানে মূল দল ও অঙ্গ সংগঠনের আরও কয়েক শ নেতা কর্মী জড়ো হয়। তবে পুলিশ তাদের কাউকেই কারা ফটকের কাছে যেতে দেয়নি।
বেলা সোয়া ১২টার দিকে কারা ফটকের সামনে আসেন মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তারা কারা ফটকে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন।
তবে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপর তারা সেখানে কিছু সময় অপেক্ষার পর চলে যান। তখনো অনেক নেতা কর্মী সেখানে অবস্থান করছিলেন।
ঢুকতে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে পেট্রল পুলিশের পরিদর্শক আল মামুন ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, গত পরশু বিএনপির পক্ষ থেকে আজ খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে কারা অধিদপ্তরের কোনো অনুমতিপত্র তাদের কাছে আসেনি। এ জন্য বিএনপির নেতাদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি।