
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘আমাদের প্রথম এজেন্ডা হলো বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। সরকার চেষ্টা করবে তাকে বেশিদিন কারাগারে রাখতে। কারণ সরকার তাকে ভয় পায়। তিনি অবশ্যই মুক্তি পাবেন এবং যেদিন তিনি মুক্তি পাবেন সেদিন নতুন জোয়ার সৃষ্টি হবে।’
তিনি আরো বলেন, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। যথোপযুক্ত সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এমন কর্মসূচি দেওয়া হবে যাতে সরকার পরিবর্তন হয়।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় নাগরিক অধিকার মঞ্চ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় মওদুদ এসব কথা বলেন।
মওদুদ আরো বলেন, ‘৭৫ সালের আওয়ামী লীগ আর বর্তমান আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তারা তখন যে বাকশাল কায়েম করেছিল। যদিও সেটা লিখিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে অলিখিতভাবে প্রতারণা ও প্রবঞ্চনার মধ্য দিয়ে সরকার দেশ চালাচ্ছে। এই যে কলঙ্ক আওয়ামী লীগ লেপন করল এ থেকে আওয়ামী লীগ কোনোদিনই মুক্ত হতে পারবে না।’
সাবেক এ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের বাকি নির্বাচন সরকারের জন্য পরীক্ষা। আর আমাদের জন্য যে দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না—সেটা জনগণকে বোঝানো। বাকি তিন সিটি নির্বাচনেও যদি গাজীপুর ও খুলনার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে আমাদের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তখন আর আপনাদের এই বদ্ধ ঘরে থাকতে হবে না। আপনারা তখন রাজপথে থাকবেন। কারণ কোনো স্বৈরাচার সরকারের পতন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে হয় না।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, নাজিম উদ্দীন মাস্টার, খালেদা ইয়াসমিন।