
নির্ধারিত সময়ে ত্রাণ বিতরণে বিলম্ব, চলমান বৃষ্টি ও পাহাড়ধ্বসের কারণে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু কোনারপাড়া শূন্যরেখার রোহিঙ্গা শিবিরে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তারা।
খাদ্য সংকট ও মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়টি রোহিঙ্গারা জানালেও সংশ্লিষ্টদের অনেকেরই অজানা রয়েছে বিষয়টি।
স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, রেডক্রস গত বছরের আগস্টের পর থেকেই তাদের মাসে দু’বার করে ত্রাণ দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ গত ২৯ মে এখানে সবার মাঝে ত্রাণ দেওয়া হয়। এরপর থেকে সংস্থাটি ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে রোহিঙ্গা শিবিরে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার সংকটের সঙ্গে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে রোহিঙ্গা শিবিরটি তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাতে হচ্ছে শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, শূন্যরেখার রোহিঙ্গা শিবিরে খাদ্য সংকটের কথা আমিও শুনেছি। ঈদের ছুটির কারণে সহায়তা দিতে হয়তো দেরি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি।
আর বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর দাবি করেছেন, খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করার কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। শরণার্থীদের শিবিরে কোনো খাদ্য সংকটও দেখা দেয়নি। খুব শিগগিরই তাদের নিয়মিত খাদ্য সরবরাহের চালান পৌঁছে দেওয়া হবে।
উখিয়ার বেশ কয়েকটি ক্যাম্প থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় বেশকিছু রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হলেও এখনো পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছেন আরো লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।
মায়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে তুমব্রু কোনারপাড়া শূন্যরেখায় আশ্রয় নেন সাড়ে ৫ হাজার রোহিঙ্গা। তাদের অভিমত, প্রত্যাবাসন শুরু হলে তারা সেখান থেকেই নিজ বাড়িতে ফিরে যাবেন। তবে ত্রাণের অভাবে এখন তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।সূত্র-আরটিএনএন