
শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ৪-৩ গোলে জয় লাভ করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল ফ্রান্স। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর আবার এগিয়েও যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু দুর্দান্ত ফ্রান্স পরপর তিনটি গোল করে জয় লাভ করে।
শনিবার রাতে (বাংলাদেশ সময় ৮ টায়) কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কাজান অ্যারেনায় মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা।
ত্রয়োদশ মিনিটে গ্রিজমানই দলকে এগিয়ে নেন পেনাল্টি থেকে। প্রতি আক্রমণে মাঝ মাঠে বল পেয়ে দারুণ গতিতে এগিয়ে যাওয়া কিলিয়ান এমবাপেকে মার্কোস রোহো ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখিয়ে স্পটকিকের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি।
আবারও দ্রুতগতিতে ডি-বক্সে ঢুকতে যাওয়া এমবাপেকে থামাতে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো। আবারও বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রি-কিক পায় ফ্রান্স। তবে ২১তম মিনিটের এই ফ্রি-কিকে পল পগবার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।
বলের দখলে অনেক এগিয়ে থাকলেও গোলে শট নিতে পারছিল না মেসিরা। ৪১ মিনিটে অবশেষে প্রথম শটেই আসে গোল। ডি-বক্সের বেশ বাইরে এভার বানেগার কাছ থেকে একটু ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন আনহেল দি মারিয়া। একটু দেখে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে আচমকা বাঁ পায়ের দুর্দান্ত বাঁকানো শটে বল জালে পাঠান ডান পোস্ট ঘেঁষে। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক উগো লরিস। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে দূর থেকে গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। তৃতীয় মিনিটে ডি-বক্স থেকে শট নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। বলের গতিপথে থাকা গাব্রিয়েল মের্কাদো পা সরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল তার পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।
৫৬তম মিনিটে ফেদেরিকো ফাসিওর ভুলে গোল খেতে বসেছিল আর্জেন্টিনা। কাছাকাছি গ্রিজমান থাকার পরও পরও এই ডিফেন্ডার ব্যাকপাস দেন গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানির আওতার বাইরে। ছুটে গিয়ে শট নেন গ্রিজমান। তবে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
পরের মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান বাঁজামাঁ পাভার্দ। আরেক ডিফেন্ডার লুকা এরনঁদেজের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ভলিতে বল পাঠান জালে।
৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ডি-বক্স থেকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান এমবাপে। ঝাঁপিয়ে গ্লাভস ছোঁয়ালেও পিএসজি ফরোয়ার্ডের গোল ঠেকাতে পারেননি আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক।
চার মিনিট পর আবার এমবাপের গোল। ডি-বক্সে অলিভিয়ে জিরুদের চমৎকার বাড়ানো বলে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে জালে পাঠান এই তরুণ ফরোয়ার্ড।
‘সি’ গ্রুপে ডেনমার্কের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া খেলোয়াড়দের ফিরিয়েছেন ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম।
আর্জেন্টিনার আগের একাদশ অপরিবর্তিত রাখতে চেয়েছিলেন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। কিন্তু গনসালো হিগুয়েইনকে বাদ দিয়েছেন তিনি। তার বদলে একাদশে একটি পরিবর্তন এসেছে ক্রিস্তিয়ান পাভনকে রাখায়।
ফ্রান্স একাদশ: হুগো লরিস, পাভার্ড, ভারানে, উমতিতি, হার্নান্দেস, কাঁতে, পগবা, এমবাপে, গ্রিয়েজমান, মাতুইদি, জিরুদ।
আর্জেন্টিনা একাদশ: আরমানি, তাগলিয়াফিকো, রোহো, ওতামেন্দি, মেরকাদো, দি মারিয়া, বানেগা, মাসচেরানো, এনসো, পাভন, মেসি।