
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। দেরাদুনের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ভারতের দেরাদুনের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খেলাটি হচ্ছে। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ ৫ ও ৭ জুন এখানেই অনুষ্ঠিত হবে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানদের বিপক্ষে এই প্রথম দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি মাত্র ওয়ানডে সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় স্বাগতিকরা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগেই দারুণ সব মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন দুদলের বেশ কিছু ক্রিকেটার। বাংলাদেশ দলপতি সাকিব রয়েছেন সব ফরম্যাট মিলিয়ে তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে ১০ হাজার রান আর পাঁচশ উইকেটের দারুণ এক ডাবলের দ্বারপ্রান্তে। তামিম ইকবালের সঙ্গে তিনশতম আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামার অপেক্ষায়ও আছেন সাকিব।
আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবীর আর মাত্র ৩৯ রান দরকার পঞ্চম অলরাউন্ডার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার রান ও ৫০ উইকেটের মালিক হতে।নিজের জাদুতে বিশ্ব ক্রিকেটকে মুগ্ধ করে রাখা ২০ বছর বয়সী আফগান লেগ-স্পিনার রশিদ খান আর একটি উইকেট পেলেই দেখা পাবেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের ৫০তম উইকেট। রাতেই যদি পেয়ে যান সেই কাঙ্ক্ষিত উইকেট তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুত অর্ধশত উইকেটের মালিক হবেন তিনি।
মাঠে নামার আগে মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে অবশ্য এগিয়ে আছে বাংলাদেশই। এখন পর্যন্ত একবারই আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ ২০১৪ সালে। সে বছরের বিশ ওভারের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আফগানিস্তানকে বলতে গেলে উড়িয়েই দিয়েছিল মুশফিক-বাহিনী। মাত্র ৭২ রানেই আফগানদের গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
দেরাদুনে সে জয় হয়তোবা স্বস্তি জোগাবে তবে তার চেয়েও বেশি অস্বস্তির জায়গাটা বর্তমান টি-টোয়েন্টি র্যাংকিং। বাংলাদেশ যেখানে রয়েছে দশে, আফগানিস্তানের অবস্থান সেখানে আটে।
তবে ক্রিকেটপ্রেমী ও বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের সেই আফগানিস্তান এখন আর নেই। এই চার বছরে অনেক উন্নতি করেছে আফগানরা। রশিদ খানের মতো বিশ্বমানের লেগস্পিনার আর মোহাম্মদ নবীর মতো অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারদের মোকাবেলা করবে টাইগাররা।