
পহেলা রমজান থেকে রংপুর বিভাগের ৮ জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে। সেই সাথে শুরু হবে পুলিশের বিশেষ অভিযান। বুধবার দুপুরে রংপুর বিভাগের অপরাধ, রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এাকথা জানান রংপুরের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম, পিপিএম।
ডিআইজি জানান, কোন পুলিশ সদস্য মাদকের সাথে জড়িত থাকলে সে পুলিশে থাকতে পারবে না। আর কেউ যদি মাদক গ্রহন করেন তার রক্ত পরীক্ষায় মাদকের প্রমান পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা পুলিশে ভর্তির আগে রক্ত পরীক্ষা করে তারপর পুলিশে ভর্তি নিচ্ছি।
তিনি বলেন, রমজানে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়বে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কেউ যাতে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজী করতে না পারে সেই জন্য রংপুর বিভাগের সকল পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বড় বড় মার্কেটে পুলিশের নিরাপত্তা থাকবে। সেই সাথে র্যাব, পুলিশ আলাদা আলাদা ভাবে টহল দিবে।
ডিআইজি জানান, ঈদের সময় মাহাসড়কগুলোতে দূর্ঘটনার হার বেড়ে যায়। দূর্ঘটনা রোধে হাইওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। এক প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি জানান,মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছি। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান শুরু করেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের রেহাই দেওয়া হবেনা। আমরা কাউকে ছাড় দিবো না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডিশনাল ডিআইজি বশির আহামেদ,মজিদ আলী, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় কর, ঠাকুরগাঁ পুলিশ সুপার ফারহাত আহামেদ, কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মেহেদুল কাদের পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহামেদ, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার হুমায়ন কবীর, রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, লালমনিহাটের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া, নীলফামারীর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, রংপুর আরআরএফ পুলিশ সুপার আব্দুল লতিফ প্রমুখ।