
দেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ আসর আয়োজন নিয়ে শঙ্কা দেখা গিয়েছে। বিপিএলের গভর্নিং বডির সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন যেহেতু বিপিএল-এর নির্ধারিত সময়ে কাছ দিয়ে হতে পারে, তাই বিপিএল পেছানোর কথা তারা ভাবছেন।
মল্লিক বলছেন, বিপিএল পেছানোটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আগামী এক বা দু সপ্তাহের মধ্যে এটা আমরা চূড়ান্ত করতে পারবো। আমাদের সময় নির্ধারণ করা ছিল অক্টোবরে, কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে ৭টি ফ্র্যাঞ্চাইজ ও ৩টি ভেন্যুতে খেলার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা আমরা পাবো কি না সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।
চলতি মৌসুম পুরোটা বাতিল হতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এই কর্মকর্তা বলেন, ষষ্ঠ পর্ব হওয়া নিয়ে আপাতত সন্দেহ নেই। আমাদের সময়টা পরিবর্তন হবার সম্ভাবনাই বেশি। অক্টোবরে না করে নির্বাচনের পরে জানুয়ারিতে শুরু করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।
বিপিএল কি বাংলাদেশের বাইরে হতে পারে?
২০০৯ সালে ভারতে রাজনৈতিক কারণে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ -আইপিএল দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত হয়েছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সে ধরণের কোনো পরিকল্পনা নেই।
মল্লিক জানান, বিসিবির অর্থনৈতিক শক্তি আইপিএলের মতো না। যে খরচ বাড়বে সেটা অনেক বেশি। এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজগুলোর খরচও অনেক বেড়ে যাবে। এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ইতিবাচক দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় আছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ।
২০১৯ সালে কি দুটি বিপিএল আসর হবে?
গভর্নিং বডির পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সালের বিপিএল যদি ২০১৯ সালে পেছিয়ে দিতে হয়, তাহলে ২০১৯ সালের শুরুতে একটি বিপিএল হবে এবং শেষভাগে ২০১৯ সালের নির্ধারিত বিপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গভর্নিং বডি।
ফ্র্যাঞ্চাইজগুলোর সাথে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক না হলেও ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, তিনি স্ব-উদ্যোগে যেসব ফ্র্যাঞ্চাইজের সাথে কথা বলেছেন তারা বিপিএল পেছানোর ব্যাপারে একমত। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিপিএল উপলক্ষ্যে অনেক দেশের ক্রিকেটার আসেন। তাদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে বিপিএল আয়োজন করতে চাননা তারা।