1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় নবাগত ডিসি মাসুদুর রহমান মোল্লা’র যোগদান গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ অর্থের অভাবে ধান কাটতে না পারা চার কৃষকের ৩ একর জমির ধান কেটে দিলেন লালমনিরহাট কৃষকদল ‎ পীরগঞ্জে হানি ট্র্যাপের ঘূর্ণাবর্তে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার; অন্যদিকে রাসলীলা উপভোগে উন্মত্ত সহকারি শিক্ষক রামকৃষ্ণ রায়! পীরগঞ্জে খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে এসি ল্যান্ড অফিসের সামনে! উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

বিচারপতি এস কে সিনহার হিসাবে ৪ কোটি টাকা, দুদকে ২ ব্যবসায়ী

  • আপডেট হয়েছে : রবিবার, ৬ মে, ২০১৮
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার সকাল ৯টায় সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ও মোহাম্মদ শাহজাহান নামের এ দুই ব্যবসায়ী হাজির হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন কমিশনের কর্মকর্তা (পরিচালক) সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

আলোচিত বেসরকারি খাতের ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে মিথ্যা ঘোষণা ও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে চার কোটি টাকা ঋণ উত্তোলন করে তা রাষ্ট্রের এক সময়ের ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’র ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বলতে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নাম বলছেন। প্রাপ্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে এই দুই ব্যবসায়ীকে গত ২৫ এপ্রিল তলব করে দুদক।

সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখায় বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য মেলে। আড়াই বছরে ওই অ্যাকাউন্টে জমা হয় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি। বেতন ছাড়াও লাখ এবং কোটির হিসাবে টাকা জমা হয়েছে ২৬ বার। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর দু’টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে দুই কোটি করে চার কোটি টাকা জমা হয়। আগের দিন ৮ নভেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে মোহাম্মদ শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার ঋণ অ্যাকাউন্ট থেকে এই চার কোটি টাকার পে-অর্ডার বিচারপতি সিনহার নামে ইস্যু করা হয়।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, শাহজাহান ও নিরঞ্জনের আবেদনের প্রেক্ষিতে পে-অর্ডার ইস্যুর দু’দিন আগেই ৬ নভেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় দু’টি ঋণ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। দু’টি অ্যাকাউন্টের তথ্য ফর্মেই ঋণ আবেদনকারীদের বর্তমান ঠিকানা হিসেবে লেখা হয় প্রধান বিচারপতির উত্তরার বাড়ির ঠিকানা (সেক্টর-১০, সড়ক-১২, বাড়ি-৫১)। দু’জনেরই স্থায়ী ঠিকানা বিচারপতি সিনহার সে সময়ের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) রঞ্জিতের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি এলাকা। রঞ্জিত বর্তমানে সিঙ্গাপুর প্রবাসী। সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে তিনি বিচারপতি সিনহার উত্তরার বাড়িতেই থাকতেন।

বিচারপতি সিনহাকে টাকা দেওয়া শাহজাহানের (জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৯৩১২৫৪৭৪৩১২০৩০) বাবার নাম মৃত আমির হোসেন। ঋণ আবেদনে তিনি নিজের পেশা হিসেবে চাকরি ও ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। তার ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর

(টিআইএন) নেই বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন তিনি। ৬ নভেম্বর তার খোলা ঋণ অ্যাকাউন্ট নম্বর ০১৭৩৫০০১৫৭২৮৬। ৮ নভেম্বর বিচারপতি সিনহার নামে দুই কোটি টাকার পে-অর্ডারের আবেদন করেন শাহজাহান। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে পে-অর্ডার (পে-অর্ডার নম্বর-০০৯২০৪৭) ইস্যু করে ব্যাংক। এরপর এই অ্যাকাউন্টে আর কোনও লেনদেন হয়নি।

বিচারপতি সিনহার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়া অপর ব্যবসায়ী নিরঞ্জনের (জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৭৬৯৩১২৫৪৭০০০০০১) বাবার নাম গোলক চন্দ্র সাহা। তার পেশা উল্লেখ নেই ব্যাংকের তথ্য ফরমে। উল্লেখ নেই টিআইএন নম্বরও। একই তারিখে তার ঋণ অ্যাকাউন্ট (অ্যাকাউন্ট নম্বর ০১৭৩৫০০১৫৭২২৪) খোলার দু’দিনের মাথায় একইভাবে ৮ নভেম্বর বিচারপতি সিনহার নামে দুই কোটি টাকার পে-অর্ডার ইস্যুর আবেদন করেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতে পে-অর্ডার ( পে-অর্ডার নম্বর- ০০৯২০৪৬) ইস্যু করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। শাহজাহানের মতোই নিরঞ্জনের অ্যাকাউন্টেও এরপর আর কোনও লেনদেন হয়নি।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft