1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১২ অপরাহ্ন
৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ পলাশবাড়ীতে আলহাজ্ব ফজলুল হক মন্ডলের ইন্তেকাল : দাফন সম্পন্ন গভীর শোক ও সমবেদনা গাইবান্ধার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে গণমাধ্যমকর্মীদের পরিচিতি সভা গাইবান্ধায় নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সৌজন্য সাক্ষাত ফারিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতিকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পলাশবাড়ীতে মানববন্ধন গাইবান্ধা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে কমিউনিটি সভা পলাশবাড়ীতে কাকতালীয় ইঞ্জিন বিস্ফোরণ ঘটে প্রাইভেট কার ভস্মীভূত সৌভাগ্যক্রমে কোনো অঘটন ঘটেনি পলাশবাড়ীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস পালনের প্রস্তুতিমূলক এবং আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেডের দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন হাসপাতালের বেড থেকেই লাইভে সংবাদ: পেশার প্রতি দায়িত্ববোধে আলোচনায় সাংবাদিক রবিউল ইসলাম

তারেক রহমানের নোটিশের জবাব দিলেন না পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

  • আপডেট হয়েছে : রবিবার, ২০ মে, ২০১৮
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের পাসপোর্ট বর্জনের বিষয়ে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার এবং ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পাঠানো আইনি নোটিশের জবাব দিলেন না পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। দুটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকও উপেক্ষা করেছেন নোটিশটির।

গত ২১ এপ্রিল যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের বাংলাদেশের পাসপোর্ট যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগে জমা দেয়ার তথ্য জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এই খবর প্রকাশ করে বাংলাদেশের দুটি জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠ এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন।

তিনি বলেন, ‘তারেক জিয়া বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট হাইকমিশনে জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন। সেই তারেক রহমান কীভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন?’

২৩ এপ্রিল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই তথ্য অস্বীকার করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন। একই দিন তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার আইনজীবী বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠান।

নোটিশে দাবি করা হয়, তারেক রহমানের পাসপোর্ট তার কাছেই আছে। তিনি এটি কোথাও জমা দেননি। এতে ১০ দিনের মধ্যে তারেক রহমানের নাগরিকত্ব বর্জনের প্রমাণ দেয়া আর না পারলে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। নইলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

একই নোটিশ পাঠানো হয় কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামের কাছেও।

নোটিশ দেয়ার রাতেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তারেক রহমানের পাসপোর্ট যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়ার নথি তুলে ধরেন। জানান ২০১৪ সালের ২ জুন তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী-সন্তান তাদের পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিয়েছেন।

নাগরিকত্ব ‘ত্যগের’ বিষয়ে যে ব্যাখ্যা প্রতিমন্ত্রী দাঁড় করিয়েছেন, সেটি হলো, বিদেশে একজন নাগরিকের পরিচয় হলো তার পাসপোর্ট। কিন্তু তারেক রহসান সে পাসপোর্টিই আর রাখতে চাননি। এ কারণে তার নাগরিকত্ব থাকতে পারে না।

নোটিশে তারেক রহমানের পাসপোর্ট তার কাছে থাকার দাবি করা হলেও পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে পাসপোর্ট জমা দেয়ার তথ্য স্বীকার করে নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, এটা জমা দেয়া হয় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজনে।

২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে আছেন। এর আগের বছর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি নিয়ে তিনি দেশটিতে যান। কিন্তু জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে দেশে ফিরেননি তিনি। আর অবর্তমানে করা দুটি মামলায় মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ২২ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে তারেকের। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

১০ দিনের সময় দিলেও প্রায় এক মাসেও জবাব না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারেক রহমানের পক্ষে নোটিশদাতা কায়সার কামাল।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘নোটিশে ১০ দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার কথা ছিল। তবে এখনও জবাব পাইনি।’

জবাব না দিলে বা ক্ষমতা না চাইলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের যে হুঁয়িশারি দেয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক রহমানের আইনজীবী বলেন, ‘আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আগে একটি যৌক্তিক সময় দিতে হয়। আমরা আরও সময় দিতে চাই। এরপর কী করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

এই আইনি নোটিশের আগে বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো আরেকটি নোটিশ নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছিল গত ডিসেম্বরে।

গত ৭ ডিসেম্বর গণভবনে করা সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলের নামে সৌদি আরব ও কাতারে বিপুল সম্পদ রয়েছে।

এই বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর বিএনপি প্রধানের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রধানমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠান।

নোটিশে এক মাসের মধ্যে সব জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনি মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। নইলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়।

কিন্তু এক মাসের জায়গায় পাঁচ মাসেও নোটিশের জবাব দেয়া হয়নি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে। আর হুমকি দিলেও আইনি ব্যবস্থা নেননি খালেদা জিয়া।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft