
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আল্লার দলের জেলা নায়েকসহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল ১১ মে শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ সরকারি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গোপন বৈঠক থেকে তাদের আটক করে থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে “আল্লার দলের” নেতাকর্মী বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এদের মধ্যে একজন জেলা নায়েক, একজন থানা নায়েক এবং একজন গ্রাম নায়েক রয়েছেন। অবশিষ্ট চারজন “আল্লার দলের” সক্রিয় সদস্য। আটককৃতরা হলেন- উপজেলার সমসপাড়া গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে মতিয়ার রহমান, বোয়ালিয়া গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে মোসাদ্দেক আলী, মৃত মজিবর রহমানের ছেলে সেকেন্দার আলী, কাইয়াগঞ্জের নূর হোসেনের ছেলে ফরিদুল ইসলাম, তরুনীপাড়ার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে সুমন, বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত সোলায়মানের ছেলে শরিফুল ইসলাম ও পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনমারী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে বাবলু খন্দকার।
এদের মধ্যে বাবলু খন্দকার গাইবান্ধা জেলা নায়েক, মোসাদ্দেক হোসেন গোবিন্দগঞ্জ থানা নায়েক এবং শরিফুল ইসলাম গ্রাম নায়েক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে আটককৃতরা জানায়, চারসদস্যর মধ্যে সেকেন্দার বাদে বাকী তিনজন নতুন সদস্য। সংগঠনের নিয়মানুসারে ওই বৈঠকে নবাগতদের “শপথ” করানো হয়। এরপর আলোচনা চলাকালে সেখান থেকে গ্রেফতার হন তারা।
এখবর নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান পিপিএম জানান, আটকদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। তাদের গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।