
গাইবান্ধা জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সহঃ শিক্ষক লিখিত নিয়োগ পরীক্ষায় পলাশবাড়ী উপজেলার ৭টি কেন্দ্রে ৪৭০০ পরীক্ষার্থী, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সচিব এবং শিক্ষকদের সাথে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রার্থীরা রুম চুক্তি করছেন বলে অভিযোগ
পরীক্ষার্থীদের জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন পরীক্ষার্থীরা।
গাইবান্ধা আগামীকাল ২৬ তারিখ শনিবার সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিতব্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় ৭টি কেন্দ্রের মোট ৪৭০০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করবেন ৷
কেন্দ্রের নাম যথাক্রমে- ১ ) পিয়ারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়- ১০০০, ২) এস, এম পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় -১০০০, ৩) আদর্শ ডিগ্রী কলেজ- ১০০০, ৪) গ্রীন ফিল্ড স্কুল এন্ড কলেজ -৪০০, ৫) ইউনিক কিন্ডার গার্টেন – ৩০০, ৬) সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা- ৬০০, ৭) এস,এম,বি স্কুল এন্ড কলেজ – ৪০০ ৷ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত এসব পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবেন ৷
প্রার্থীদের অভিযোগে সরেজমিনে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট ৭টি কেন্দ্র সচিব ও অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়া ও পরীক্ষা কক্ষে সুবিধা প্রদানের জন্য মোটা অংকের টাকা চুক্তি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বাসা-বাড়ীতে পরীক্ষার্থী আত্মীয় স্বজনদের আনাগোনা ও লক্ষ্য করা যাচ্ছে ৷ কোন কোন পরীক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শক হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহ করবেন বলে ও চুক্তি করেছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে ৷
ইতিপূর্বে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় পলাশবাড়ী উপজেলা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে দূর্নীতির রেকর্ড রয়েছে ৷
আগামীকাল ২৬ মে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলামের মুঠো ফোন- ০১৭১১-৪৫১৬৯৯ এ যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিককে বলেন কোন কেন্দ্রের সচিব ও শিক্ষক দায়িত্বে অবহেলা ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তাহার বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ৷
অভিযোগকারী পরীক্ষার্থীরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ৷