
‘আওয়ামী লীগের শত শত বড় বড় নেতাকর্মীদের নাম গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলেও এখনও পর্যন্ত তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হয়নি। দেশে মাদক বিস্তারের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ’ বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা নেছারুল হক, গিয়াস উদ্দীন মামুন, যুবদল নেতা হাজী ইউসুফ, এস এম জাহিদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তালিকা করে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা। মাদক ব্যবসায়ের যারা গডফাদার তারা মূলত আওয়ামী লীগেরই লোক, আর সেই কারণেই তারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
সারা দেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচার বহির্ভূতভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ জনকে হত্যা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতরাতেও ৫ জেলায় ৭ জনকে ক্রসফায়ারে দেয়া হয়েছে। গোটা দেশকে হত্যার বধ্যভূমিতে পরিণত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মাদক নির্মূলের নামে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা সকলের জন্য রীতিমতো উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে। এখন ক্রমান্বয়ে বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং নতুন করে টার্গেট করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন দেশজুড়ে মাদকবিরোধী যে অভিযান চলছে সেখানে পুলিশ তাদের ইচ্ছা মতো সাধারণ মানুষদের বিশেষ করে কোথাও কোথাও বিএনপিসহ বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ধরে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করছে, হয়রানী করছে এবং দাবিকৃত টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদেরকে নির্মমভাবে ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে কিংবা হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। যদিও বলা হচ্ছে তালিকা করে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা হচ্ছে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা। আসলে মাদক ব্যবসায়ের যারা গডফাদার তারা মূলত: আওয়ামী লীগেরই লোক, আর সেই কারণেই তারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
রিজভী আরো বলেন, ‘একদিকে চালাচ্ছেন হত্যার মহাযজ্ঞ, আরেক দিকে এক তরফা নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার অনুগত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সেটি দিয়ে এখন তিনি শান্তিনিকেতনে আনন্দ ভ্রমণ করছেন। কোনো আলোচ্য সুচি নেই, কোনো ধরনের এজেন্ডা নেই, প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়ে খোশ গল্পে এবং এই রমজান মাসে তিনি সঙ্গিত উপভোগ করছেন। এটি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্লজ্য তাচ্ছিল্য করা। এটি দেশের জনগণকে অবমাননা করা।’