
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের বর্তমান সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ দ্বিতীয় দফায় আবারও পিছিয়েছে আদালত।
আজ ২ এপ্রিল সোমবার গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহনের দিন ধার্য থাকলেও আসামীপক্ষের সব আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় তা আবারও পিছিয়ে ৮ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহনের পরবর্তী দিন ধার্য করেন জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিচারের জন্য এমপি লিটন হত্যা মামলাটি আদালত বদলি হয়ে ২২ জানুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসে। ৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রথম দফায় ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত আসামীপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তা পিছিয়ে আজ ২ এপ্রিল সোমবার সাক্ষ্যগ্রহনের কথা ছিল।
তিনি আরও জানান, সোমবার এমপি লিটন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিল। সে অনুযায়ি মামলার বাদি এমপি লিটনের ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী আদালতে হাজির হন। কিন্তু প্রধান আসামি অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল ডাঃ আব্দুল কাদের খানের আইনজীবি উপস্থিত থাকলেও অন্য আসামিদের কোন আইনজীবি ছিল না। আসামিরা কোন আইনজীবি নিয়োগ করতে না পারায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম প্রামানিককে আসামীপক্ষের আইনজীবি নিয়োগ করেন। সরকারি খরচে তিনি আসামীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনার তার বোন ফাহমিদা আকতার বুলবুল কাকলী অজ্ঞাত ৪/৫ জন দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
গত বছর ৩০ এপ্রিলে সুন্দরগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান একই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ডা. আব্দুল কাদের খানসহ আটজনকে এ মামলায় অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।
আসামিদের মধ্যে অপর সাতজন হলেন— ছামসুজোহা, আব্দুল হান্নান, মেহেদী হাসান, আনোয়ারুল ইসলাম রানা, শাহিন মিয়া, সুবল চন্দ্র রায় ও আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন।
মামলায় অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খানসহ সাতজন কারাবন্দি আছেন। পলাতক চন্দন ভারতে গ্রেফতার হলেও তাকে এখনো এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি। এ মামলায় চন্দন এখনও পলাতক রয়েছে।