
বিনোদন ডেস্ক: নীল ছবির তারকা থেকে বলিউড অভিনেত্রী হয়ে ওঠার আগে থেকেই সমালোচনা সানি লিওনের জীবনের নিত্যসঙ্গী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বেবিডল জানিয়েছেন, ‘শুধু ভারত থেকে কেন! ২১ বছর বয়স থেকেই তাঁকে ভিন্ন ভিন্ন দেশবাসীর বিদ্বেষপূর্ণ মেইল এবং সমালোচনার মুখে পড়েতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ২১ বছর বয়সে দর্শকরা যখন কুমন্তব্য করেন, তখন তো তার একটি খারাপ প্রভাব পড়েই। স্বাভাবিক ভাবে ওই সময় ভিতরে ভিতরে খুবই ভেঙে পড়েছিলাম। সেই সময় পাশে দাঁড়ান বাবা-মা। এসব ব্যাপার নিয়ে একেবারে চিন্তাভাবনা না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা।’
সানির অতীত নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। কেউ কেউ আবার তাঁর অতীত নিয়ে মনে মনে অন্যরকম মতও পোষণ করেন। কিন্তু আর না। এবার নিজেকে মেলে ধরার পালা সানির। মুক্তির অপেক্ষায় ‘করণজিত কউর দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ সানি লিওন।’ কানাডায় পর্নস্টার হিসাবে সানির উত্থান থেকে হিন্দি ফিল্মের দুনিয়ার পা রাখা পর্যন্ত জীবনের বর্ণময় অভিজ্ঞতা রয়েছে সানির বায়োপিকে।
সঙ্গে সানির অজানা গল্প। নার্স হওয়ার জন্য যখন পড়াশোনা করছিলেন সানি, তখন এক ড্যান্সার বন্ধুর মারফত আলাপ হয় এক ম্যাগাজিনের ফটোগ্রাফারের সঙ্গে। সেখান থেকেই খোলে পর্ন ইন্ডাস্ট্রির দরজা। রাতারাতি বদলে যায় তাঁর জীবন। আবার সে ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে থাকতে থাকতেই চলে আসেন বিগ বসের আসরে। সেখান থেকে একটার পর একটা বলিউডি ছবিতে অভিনয় করে চলেছেন।
সানি নিজেও জীবনের এই যাত্রাপথ তুলে রাখতে চান। কারণ বলিউডের একজন অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর অতীত নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকেই ভাবেন, তিনি বোধহয় পর্নস্টারই হতে চেয়েছিলেন। সেই ভুল ধারণা কাটাতেই এই তথ্যচিত্র সানির কাছে জরুরি মনে হয়েছে। পর্নস্টার হলেও তাঁর জীবনেও যে ভাঙাগড়া আছে, সংগ্রাম আছে তাই সকলকে এই বায়োপিকের মাধ্যমে জানাতে চান সানি।